Happening Now
AI in Education: Bengal Pacing Ahead in Edutech
বাংলা শিক্ষা অগ্রগামী: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে পাঠ্যক্রম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো
পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (West Bengal Council of Higher Secondary Education) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ডেটা সায়েন্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) বিষয়ক কোর্স চালু করেছে।


কোর্সের কাঠামো কেমন?
- পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ডেটা সায়েন্স-কে উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর যুগের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
- ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে, WBCHSE ডেটা সায়েন্স (DTSC) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (ARTI)-কে XI ও XII শ্রেণির ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এর লক্ষ্য ছিল বর্তমান প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করা এবং ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে তোলা।
কোর্সের মূল বিষয়বস্তু
-
ডেটা সায়েন্স (DTSC)
- - কম্পিউটার ও প্রোগ্রামিং ভাষার প্রাথমিক ধারণা
- - ডেটা বিশ্লেষণের জন্য পরিসংখ্যান ও গাণিতিক কৌশল
- - ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট
- - ব্যবসায়িক তত্ত্ব ও তার প্রয়োগ
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত (AI)
-
- - কম্পিউটারের মৌলিক ধারণা
- - এআই সিস্টেমের জন্য প্রোগ্রামিং পরিবেশ
- - কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিবর্তন
- - আধুনিক এআই-এর মূলনীতি
- প্রাথমিক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও, শিক্ষক প্রশিক্ষণের অভাব এবং ডেটা সায়েন্স বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কম অংশগ্রহণ WBCHSE-কে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা সায়েন্সকে একত্রিত করে একটি নতুন বিষয় "Artificial Intelligence and Data Science (AIDS)" চালু করা হবে।
- এই নতুন বিষয়টি স্কুলগুলোর পক্ষে সহজেই পরিচালনা করা সম্ভব হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুগঠিত ও কার্যকর হবে। WBCHSE X শ্রেণিতে একটি ভিত্তিপ্রস্তর কোর্স প্রস্তাব করেছে, যা কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করবে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে এআই ও ডেটা সায়েন্স শেখার প্রস্তুতি নেবে।
- ডেটা সায়েন্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংযুক্তি পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাকে আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তিগত প্রবাহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। WBCHSE এই সমন্বিত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চায়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ভবিষ্যতের যুগকে পুরোপুরি প্রভাবিত করবে
- ডেটা বিজ্ঞানীদের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো তারা সংস্থার ডেটা অ্যাক্সেসযোগ্যতা ও ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে পারেন। শুধুমাত্র ডেটা বিশ্লেষণ নয়, বরং তারা বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
- ডেটা বিজ্ঞান আজকের সময়ের অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন পেশাগুলির মধ্যে একটি। যারা এই কোর্স সম্পন্ন করেছেন, তারা চাকরির বাজারে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবেন। যেহেতু ডেটা এখন ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি, তাই প্রতিটি সংস্থা এমন একজন পেশাদারকে খুঁজছে যিনি দক্ষতার সাথে এটি পরিচালনা করতে পারবেন।
- ২০২৬ সালের মধ্যে ভারতে প্রায় ১.১ কোটি ডেটা সায়েন্স সম্পর্কিত চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এছাড়াও, একজন ডেটা বিজ্ঞানী সংস্থার পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
- প্রত্যেক ব্যবসা এখন ডেটার উপর নির্ভরশীল। কোন পণ্যটি সবচেয়ে বেশি বিক্রিত, কোন পরিষেবা সবচেয়ে জনপ্রিয় – এসব তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবসাকে আরও কার্যকর করা সম্ভব। সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডেটার যথাযথ বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা ডেটা বিজ্ঞানীদের চাহিদা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
- প্রায় প্রতিটি শিল্পক্ষেত্রে ডেটা বিজ্ঞানীদের প্রয়োজন। খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে মানবসম্পদ পরিচালনা – প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডেটা ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।
- ডেটা বিজ্ঞান এমন একটি ক্যারিয়ার যা সর্বাধিক নমনীয়তা প্রদান করে, এবং এটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন পেশাগুলির একটি।
- যারা এই ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেন, তারা বিস্তৃত কর্মসংস্থানের সুযোগ ও চাকরির নমনীয়তা উপভোগ করতে পারবেন।




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp