উত্তাল বিধানসভা, বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে তিনজন বিজেপি বিধায়ক বরখাস্ত,মাথা গরম কেন?

বিধানসভায় উত্তেজনা, সাময়িকভাবে নিলম্বিত শুভেন্দু অধিকারী!

• বিধানসভা আর কিছু হোক ব্যাট বল খেলার যায়গা অন্তত নয়, কিন্তু বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বোধয় ঠিক বুঝতে পারেননি, কাগজের বল ছুরে সোজা আউট তিনি।
• এবং শুধু একাই আউট হননি তিনি সাথে করে আরও তিন জন সঙ্গিকে নিয়ে বিধানসভার মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেনI
• সরস্বতী পুজো নিয়ে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি, যা খারিজ হয়ে যাওয়ার পরই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ আরও তিন বিজেপি বিধায়ক—অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারক—কে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে।
• সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজো নিয়ে তর্ক বিতর্কে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে শুভেন্দু অধিকারী কাগজ ছুড়ে দেন, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এর জেরেই বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা ছড়ায় এবং স্পিকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।
• তবে, বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু দাবি করেন, তিনি কাগজ ছোড়েননি, বরং কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন।
• সরস্বতী পুজোর সময়ে বাংলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে এই পুজো বন্ধ করা নিয়ে চরমে উঠেছিল দ্বন্দ্ব। সেই বসয়েই সরকারের হস্তক্ষেপ দাবী করে শুভেন্দু অধিকারী।
• তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী কেন হিন্দু দেশে পুজো করতে গেলে পুলিশের সাহায্য নিতে হবে? কিন্তু এই বক্তব্য কানে তোলেননি স্পিকার। প্রস্তাব খারিজ হতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন শুভেন্দু শুরু হয় বচসা।
• শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে বিধানসভায় ঝামেলা করেন অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারকও ।
• রাজ্যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার হয়েছে, আর সরকার তার মোকাবিলা করায় ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি প্রস্তাবটি পাঠ করতে চান। তাঁকে সেই অনুমতি দেওয়া হয়।
• মুলতবি প্রস্তাব পাঠ করার পর বিজেপি বিধায়করা বিষয়টির উপর আলোচনা চান। কিন্তু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে না দিলে তুমুল হইচই শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। ওঠে সরকার বিরোধী স্লোগান। বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ।

জাতপাত ভেদের সরকার তৃনমূল?

• বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ বলে আক্রমণ করেন। তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল মুসলিম লিগকেও হার মানাবে। এটি ‘মুসলিম লিগ ২’ সরকার চলছে।
• দুর্গা ঠাকুর, কালী ঠাকুর, লক্ষ্মী ঠাকুর ভাঙা সরকার তৃণমূল।” শুভেন্দুর মতে, হিন্দু ধর্মের পক্ষ নিয়ে কথা বলার জন্যই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
• সাসপেন্ডের পর বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পরে শুভেন্দু অধিকারী সহ অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। শুভেন্দু বলেন মিথ্যা অভিযোগ রটানো হয়েছে কাগয ছোড়া হয়নি, বরং হাতের কাগজ আমি ছিরে ফেলেছিলাম।

রাজ্যপালের ভাষণে বিক্ষোভ!

• বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণের সময় বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তাঁরা দাবি করেন, রাজ্যপালের ভাষণ সংবিধানের ১৭৬(২)(বি) ধারা লঙ্ঘন করেছে।
• বিজেপি বিধায়করা স্পিকারের কাছে এই বিষয়ে আপত্তি জানান এবং রাজ্যপালের ভাষণ বাতিল করার দাবি করেন। স্পিকার তাঁদের আপত্তি খারিজ করে দেন এবং বলেন, রাজ্যপালের ভাষণ সংবিধান মেনে দেওয়া হয়েছে।
• এরপরই নাকি বিজেপি বিধায়করা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। স্পিকার তাঁদের শান্ত হতে অনুরোধ করেন, কিন্তু তাঁরা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। এরপরেই প্রসঙ্গ ওঠে সরস্বতী পুজার তখন বিতর্ক আরও চরম আকার ধারণ করে।

কি বললেন শুভেন্দু?

• বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তোলেন, বেশিরভাগ গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয় না।
• শুধু সরস্বতী পুজো নয় বিজেপি চা বাগান জমি নিয়েও কথা বলতে চাওয়া হয় তাও গ্রাহ্য করেনি সরকার। চার বছর ধরে অধিবেশনে আসেন না পুলিশ মন্ত্রী ফলে গুরুত্বপুর্ন আলোচনাগুলি হয় না।
• সংসদের একটা নিয়ম কেন মানবে না তৃনমূল সরকার?
• হরিণঘাটার নগর উখড়া, বুথ সভাপতিকে দেখা গেছে শিক্ষকদের উপর জুলুম করতে। কেন এই অরাজকতা হবে?
• শুভেন্দু বলেন “হিন্দু বিরোধী সরকার! আমাদের পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কারণ আমরা ন্যায় করতে চাই”
• হিন্দু সমাজকে শেষ করে দিতে চাইছে তৃনমূল, শুভেন্দুর বক্তব্য তা তিনি হতে দেবেন না, এই লড়াই চলবে।