০৬ জানুয়ারি ২০২৫

বুকে গোপনাঙ্গে হাত হেডমাস্টারের

  • দমদম ভারতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলে অষ্টম শ্রেনির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে দমদম ভারতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের প্রধান শিক্ষক।ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিক্ষোভে ফেটে পরেন অবিভাবকরা।
  • অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডাকেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক, শুভজিৎ ভট্টাচার্য।
  • ঘরে ডেকে নাকি শ্লীলতাহানি করেন শুভজিৎ ভট্টাচার্য। নির্যাতিতা বয়ান দেন, উনি বুকের জামা ধরে নাকি টান মারেন এবং সাথে গোপনাঙ্গেও হাত দেয় ।
  • বাড়ি ফিরেই পুরো ঘটনাটি নির্যাতিতা জানায় বাড়ির লোককে। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাড়ির লোক।
  • এদিন সকাল থেকেই স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান বাকি অবিভাবকরা। প্রধান শিক্ষকের গ্রেপ্তারির দাবি করেন তারা।
  • এটাই প্রথম শ্লীলতাহানির প্রথম অভিযোগ নয় এর আগেও নাকি ঐ হেডমাস্টার অনেক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে।
  • ছাত্রীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি স্কুলে এই নোংরামি চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত। একেকদিন একেক ছাত্রীর গায়ে হাত দিতেন তিনি।প্রতিবাদ করেও হয়নি কোনও লাভ। রোজই কোনও না কোনও ছাত্রীর সাথে অসভ্যতামি করতেন ঐ শিক্ষক।
  • এই ঘটনার পর অবশ্য স্কুলে আর আসেননি সেই প্রধান শিক্ষক। শুরু হয়েছে তদন্ত।

কয়েকটি ভয়ঙ্কর ছাত্র নিপীড়নের ঘটনা যা ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নাড়িয়ে দিয়েছে

  • বাদলাপুর স্কুল যৌন নির্যাতন মামলা (আগস্ট ২০২৪)- মহারাষ্ট্রের বাদলাপুরে একটি নামকরা স্কুলে ২৩ বছর বয়সী এক পরিচ্ছন্নতা কর্মী দুই চার বছর বয়সী ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের শৌচাগারে যৌন নির্যাতন করে। এই ঘটনা অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করে এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভের রূপ নেয়।
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাগিং কাণ্ড (আগস্ট ২০২৩)- কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৭ বছর বয়সী এক নবাগত ছাত্রকে প্রবীণ ছাত্রদের দ্বারা র‌্যাগিং-এর শিকার হতে হয়। পরে সে হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ব্যালকনি থেকে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্নওঠে।
  • গার্গী কলেজ যৌন নিপীড়ন মামলা (ফেব্রুয়ারি ২০২০)- দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত গার্গী কলেজের বার্ষিক উৎসব চলাকালীন, নেশাগ্রস্ত একদল বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে এবং ছাত্রীদের যৌন হেনস্থা করে। ঘটনাটি ব্যাপক বিতর্ক ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে নিরাপত্তার দাবি আরও জোরালো হয়।

দিন দিন বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হেনস্থা- কি করনীয়?

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে, বিশেষত স্কুলের মতো নিরাপদ পরিবেশেও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ উঠছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা অভিভাবক, প্রশাসন এবং সমাজের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনকে দিন।
  • এই হেনস্থা রোধে অনেক আইনও বেরয়েছে যেমন- প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (POCSO) অ্যাক্ট, ২০১২: এই আইনের অধীনে ১৮ বছরের কম বয়সি শিশুদের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
  • ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (IPC) ধারা ৩৫৪, ৫০৯: নারীদের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ, শ্লীলতাহানি বা মানসিক হয়রানির জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।
  • রাইট টু এডুকেশন (RTE) অ্যাক্ট,২০০৯: শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করা হয়েছে।
  • এছাড়াও পর্জাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা, প্রতিটি স্কুলে একটি অভিযোগ গ্রহণকারী সেল থাকা উচিত, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা গোপনীয়ভাবে অভিযোগ জানাতে পারবে এমন কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় ।
  • এছাড়াও সবথেকে দরকার নিজেদের সতর্কতা, ও ভয় না পেয়ে লড়ার সাহস।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার