০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lovely Maitra Takes To Public Grievance Box as Election Strategy

জনতার দরবারে বিধায়ক লাভলী মৈত্র: অভিযোগ-বাক্সে সমাধানের খোঁজ!

এবার ‘অভিযোগ বাক্স” মাধ্যমে জনতার দরবারে পৌছাবেন সোনারপুর তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র। বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিধায়ক লাভ্লী মৈত্র।

জনতার দুয়ারে বিধায়ক লাভলী মৈত্র

  • ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কর্মীসভা থেকে আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচন লড়ার রোডম্যাপ তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সুপ্রিমোর এই নির্দেশ পেয়ে রীতিমতো ঊঠে পরে লেগেছে তৃনমূলের বিধায়কগণ।
  • পরের বছর ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে জিততে মরিয়া সোনারপুর তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র।
  • সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্র জনসংযোগ জোরদার করতে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তিনি সাধারণ মানুষের মতামত সংগ্রহ করতে চান বিধায়ক লাভ্লী মৈত্র।
  • বিধায়ক লাভ্লী মৈত্রের কাজকর্মে যদি কোনো ঘাটতি থেকে থাকে, তা জানতে চান তিনি। এজন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি ‘অভিযোগ বাক্স’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
  • লাভলী জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ তাঁদের অভিযোগ কিংবা পরামর্শ লিখিতভাবে ওই বাক্সে জমা দিতে পারবেন। এমনকি, তাঁর নিজের কাজ নিয়েও যদি কারও কোনো অভিযোগ থাকে, সেটিও জানানোর সুযোগ থাকবে।
  • অভিযোগ বুঝে ও পরামর্শ পর্যালোচনা করে তা সমাধানের চেষ্টা করা লাভলী মৈত্র হবে।
  • কর্মীসভায় সোনারপুর তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য জনসংযোগ আরও মজবুত করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
  • পঞ্চায়েত থেকে ওয়ার্ড অফিস পর্যন্ত এই অভিযোগ বাক্স বসানো হবে, যাতে মানুষের বক্তব্য সরাসরি শোনা যায়। পাশাপাশি, ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি করার জন্য বুথভিত্তিক কমিটি গঠন করা হবে।

জনসংযোগ মজবুতে বিশেষ নজর বিধায়ক লাভলী মৈত্রের

  • লাভলী মৈত্র আরও জানান, জনসংযোগ আরও মজবুত করতে প্রতি সপ্তাহে বুথভিত্তিক ক্যাম্প করা হবে। এই ক্যাম্পে প্রশাসনিক আধিকারিকদের রাখা হবে, যাতে মানুষের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়। সাধারণ মানুষ তাঁদের দাবি ও অভিযোগ সরাসরি জানাতে পারবেন এবং তা দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
  • এছাড়া, তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি, সেটিও আমাকে জানান। এতে আমি নিজেকে শুধরে নিতে পারব এবং আরও ভালোভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে পারব, তাদের কাছে পৌঁছাতে পারব। জনসংযোগই আমাদের আসল শক্তি, এবং সেটিকেই আরও জোরদার করতে হবে। এতে উভয় পক্ষেরই লাভ।’’
  • বিধায়ক লাভলী মৈত্রর এই উদ্যোগ সত্যি অভিনব। ভোটের আগে এইভাবে স্থানীয় মানুষের কাছে এক প্রকার ভোটের প্রচার করা অনেকটা কলা বেচা ও রথ দেখতে পাওয়ার মতই।
  • এবার সোনারপুরের বাসিন্দা এবং বিধায়ক লাভলী মৈত্রর এই রাজনৈতিক উদ্যোগ কতটা কাজ করে সেটাই দেখার।

সোনারপুরের সজীব বিধায়কের সাথে আলাপ

  • লাভলী মৈত্র পেশা শুরু করেন একজন বাংলা টেলিভিশন অভিনেত্রী হিসেবে ও তিনি বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ২০১৩ সালে স্টার জলসার সিরিয়াল "জল নূপুর"-এ শঙ্খমালা "কাজল/কাজু" পানিগ্রাহীর প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সিরিয়ালের মধ্যে "মহর" এবং "গুড্ডি" রয়েছে।
  • রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর, মৈত্র ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সোনারপুর দক্ষিণ আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি জীবন মুখোপাধ্যায়কে পরবর্তী হিসেবে স্থানান্তরিত করেন।
  • লাভলি মৈত্রের স্বামী পুলিশ কর্তা সৌম্য রায়কে লোকসভা ভোটের আগে বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ সূত্রের খবর, সৌম্য রায়ের স্ত্রী যেহেতু সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত এবং বিধায়ক পদে রয়েছেন, সেই কারণেই কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের ওই অন্যতম শীর্ষ কর্তাকে বদলি করা হয়েছিলI সৌম্য রায় বর্তমানে কলকাতা পুলিশ ডিসি সাউথ ওয়েস্ট পদে কর্মরত ছিলেন৷
  • লোভলী মৈত্র বিপাকে পড়েছেন, কারণ তিনি নাকি কলকাতার আর.জি. কর হাসপাতালের অভয়ার ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ‘কসাই’ বলেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে তাদের ধর্মঘট দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় বড় প্রভাব ফেলছে।
  • শুধু তাই নয়, লোভলী মৈত্রের স্বামী, যিনি কলকাতা পুলিশের আইপিএস কর্মকর্তা, তিনি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নোটিস ও সমন জারি করছেন।

কি উদ্যোগ নিয়েছেন অন্যান্য বিধায়করা

  • শুধু লাভলী মৈত্রই প্রথম নন যিনি এইরকম জনসংযোগমূলক উদ্যোগ নিয়েছেন। এর আগেও বহু তৃণমূল নেতা মন্ত্রী জনসংযোগ মূলক কাজ করেছেন ।
  • যেমন- ফিরহাদ হাকিম (কলকাতা পৌরসভার মেয়র ও বিধায়ক)- এর উদ্যোগে “শো ইয়োর ময়র” কর্র্মসূচি। যেখানে হোয়াটস আইপের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবে শহরবাসী।
  • অরূপ বিশ্বাস (তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক) তিনি নিয়মিতভাবে তার নির্বাচনী এলাকায় 'জনসংযোগ সভা' আয়োজন করেন। সেখানে জনগণের সমস্যাগুলো শুনে সমাধানের চেষ্টা করেন।
  • এছাড়াও “সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ ‘জনতার দরবার’ প্রভৃতি একাধিক জনসংযোগ কর্র্মসূচি চালু আছে যা মূলত, ভোটের সময়ই বেশী কার্যকরি হয়ে ওঠে।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার