সোনারপুরে ঘুমন্ত নাতনীর নিঃশ্বাস থেমে গেল ,দাদুর হাতে কিসের এতো ক্ষোভ?

সোনারপুরে চার বছরের ছোট্ট নাতনীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া। ময়নাতদন্তে জানা গেল, ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে। পরিবারের অভিযোগ, দাদু প্রণব মাঝে মাঝে শিশুটিকে বকাঝকা করতেন এবং শারীরিক শাস্তিও দিতেন। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে দাদুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ছোট্ট নাতনীর নিঃশ্বাস থেমে গেল!

• ময়নাতদন্তে স্পষ্ট, শিশুটিকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
• রবিবার দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েছিল শিশুটি, তখনই দাদু ঘরে উপস্থিত ছিলেন।
• দেহে ধারালো বস্তু দিয়ে একাধিক আঘাতও করা হয়েছে প্রাথমিক প্রতিবেদনে।
• প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে এসে মেঝেতে রক্তাক্ত শিশুকে দেখতে পান।
• বাবা-মা চাকুরিজীবী, বাড়িতে দাদু, দিদি ও পরিচারিকা ছিলেন তখন।
• ঘটনার ফলে এলাকায় শোকের ছায়া এবং আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

দাদুর হাতে শেষ হলো জীবনের আলো!

• প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন প্রণব।
• তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন।
• মঙ্গলবার বারুইপুর আদালতে তাকে হাজির করা হবে মামলার জন্য।
• স্থানীয়রা এবং পরিবার শোকাহত এবং হতাশ।
• পূর্বেও শিশুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল প্রণবের বিরুদ্ধে।
• ঘটনার ফলে এলাকায় আতঙ্ক এবং শিশু নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পারিবারিক উত্তেজনা কি নিল শিশুর প্রাণ?

• প্রণব মাঝে মাঝে শিশুর দুষ্টুমি এবং চিৎকারের কারণে বকাঝকা করতেন।
• প্রতিবেশী এবং পরিবারের তথ্য অনুযায়ী তিনি শান্ত প্রকৃতির হলেও শিশুদের দুষ্টুমি সহ্য করতে পারতেন না।
• শিশুর মা বিরক্ত থাকতেন এবং বকাঝকা বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন।
• কিছুবার শিশুকে মারধরের অভিযোগও ওঠে, উত্তেজনা বাড়ে পরিবারের মধ্যে।
• মা হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন, কিন্তু পরিবর্তন হয়নি।
• পারিবারিক তিক্ততা শিশুর প্রতি দাদুর আচরণকে প্রভাবিত করেছিল।

রবিবারের সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্ত!ঠিক কি ঘটেছিল সেদিন?

• রবিবার দুপুরে শিশুটি খাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখনই দাদু উপস্থিত ছিলেন।
• সন্ধ্যায় আচমকা চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান।
• চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন হাসপাতালে পৌঁছানোর পর।
• বাড়িতে ছিলেন দাদু, দিদি এবং পরিচারিকা, কেউ সাহায্য করতে পারেননি।
• পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রমাণ সংগ্রহ করছে।
• পরিবার ও প্রতিবেশীরা শোকাহত এবং আতঙ্কিত।

এলাকায় শোক ও আতঙ্কের ছায়া!

• এলাকায় শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শিশুখুনের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে।
• প্রতিবেশীরা প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সহায়তা দিচ্ছেন।
• স্থানীয় প্রশাসনও তদন্তে সক্রিয় হয়ে ঘটনাটি উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
• শিশুর নিরাপত্তা নিয়ে সমাজে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে।
• দাদু ছাড়াও দিদি ও পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
• প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে, শ্বাসরোধ এবং আঘাতের মাধ্যমে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

Editor’s Note

সাধারণভাবে দেখা যায়, দাদু-নাতনীর সম্পর্ক সবসময়ই মধুর হয়। নাতনীর আদরের মুহূর্তগুলো, খুনসুটি ও হাসি-মুখর সময়গুলো মনে রাখে। ছোট্ট নাতনীর কাছে দাদু হবে আনন্দের প্রতীক। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় দেখা গেল, দাদু নাতনীর সঙ্গে কখনোই ভালো সম্পর্ক না থাকায় নাতনীর দুষ্টুমি সহ্য করতে পারতেন না, মাঝে মাঝে বকাঝকা এবং মারধরও করতেন। রবিবার সেই উত্তেজনার মধ্যেই ঘটলো সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা—ঘুমন্ত অবস্থায় দাদুর হাতে শেষ হলো ছোট্ট নাতনীর জীবন। এই অপ্রত্যাশিত ট্র্যাজেডি পুরো পরিবার এবং এলাকায় গভীর শোক ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।