০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lorem Ipsum is a Dummy Text

ভারত-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কঃ চীনের কুংমিন এখন বাংলাদেশীদের কোলকাতা

চিকিৎসার জন্য ভারত ছেড়ে এবার চীনের পথে বাংলাদেশীরা। ইউনুস সরকারের নতুন চালে মাত দেওয়ার চেষ্টা ভারতকে।

কোলকাতা ছেড়ে কুংমিন

  • ভারত- বাংলাদেশের সম্পর্কের ফাটলে দুই দেশের অনেক ব্যাবসা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমীকরণে আসছে বিপুল পরিবর্তন। ভারতকেই এবার নিজের চালে মাত দিতে তৎপর বাংলাদেশ।
  • গত ৫ই আগস্টের পর থেকেই ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা বসিয়েছে ওপার বাংলার ভিসাতে। ফলে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় আসা বন্ধ বাংলাদেশীদের।
  • এতে যেমন মাথায় হাত পড়েছিল বাংলাদেশীদের তেমনি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও বিপুল লোকসানের মুখোমুখি কোলকাতাও।
  • কিন্তু চীন সফর থেকে ফিরে এসেই বিরাট ঘোষণা করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বাংলাদেশিদের চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিংকে বিকল্প হিসেবে ভাবছে সরকার।
  • ঢাকার একটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশি নাগরিকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার ‘বিকল্প’ ব্যবস্থা করে দিতে চিনকে অনুরোধ করেছেন তৌহিদ। সেই সূত্রে অনুযায়ী, অনুরোধ পেয়ে নাকি চিনের সরকার কুনমিং শহরের কয়েকটি হাসপাতালকে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করেও দিয়েছে।
  • আর এই খবরেই ঘুম কেড়েছে এই দেশের হাসপাতাল ব্যাবসায়িদের। বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের রোগীদের যাতায়াতে কলকাতার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ফুলে-ফেপে উঠেছিল। এখন সেই ব্যাবসায় চলছে চরম ভাঁটা।
  • কারণ শুধু হাসপাতালই নয়, সে সব হাসপাতালের লাগোয়া এলাকায় শুরু হয়েছে তুলনায় সস্তার ‘লজ’, ট্র্যাভেল এজেন্সি, খাবারের দোকান ইত্যাদি, যাকে এক কোথায় বলা হয়ে থাকে ‘স্বাস্থ্য পর্যটন’।
  • বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তেই এবার কি তাহলে পুরো ধসে যাবে বাংলার স্বাস্থ্য পর্যটন। ?

কোলকাতাকে কি সত্যি টেক্কা দিতে পারবে চীন?

  • তবে অনেক চিকিৎসকদের মতেই কোলকাতাকে হাজার চেষ্টা করলেও বাংলাদেশীরা এড়াতে পারবেন না। যতই বাংলাদেশীদের হাতে ট্রান্সলেটর থাকুক কিন্তু খাদ্য, সংস্কৃতির এতো মিল কোথায় পাবে?
  • এছাড়াও ট্রান্সলেটর কি সেই সমস্যা ওখানকার চিকিৎসকদের বোঝাতে পারবে যা বাংলা ভাসায় সাবলীলভাবে বলতে পারে এখানে। অসুবিধা দুই ক্ষেত্রেই হবে কিন্তু বেশী হবে বাংলাদেশীদেরই।
  • ভারত-বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সম্পর্কে এই হেন টানা পোরেনে উদ্বিগ্ন দুই দেশের মানুষই। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও চীনের এই গভীর সম্পর্ক কপালের ভাঁজকে আরও যেন বেরে যাচ্ছে।
  • চীন যে কোলকাতাকে দমন করতে পারবে না টা সবাই যানে কিন্তু বাংলাদেশ চীনের এই মাখো মাখো সম্পর্ক ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

কেমনভাবে চলত এই ‘স্বাস্থ্য পর্যটন’

  • বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করতে আসার পদ্ধতি ছিল কিছু যা মুলত ত্রী- স্তরীয়। উভয় দেশেই ছিল ‘কো-অর্ডিনেটর’ বা ‘কমপ্লায়েন্স অফিসার’। এরা দালালদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে নিজের হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীর স্রোত সুনিশ্চিত করাই ছিল এদের কাজ।
  • এরাই বলেন যে ত্রী- স্তরের প্রথম স্তরে রোগী বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ঢাকায়। অনেক ক্ষেত্রে সেখানেই স্থির হয়ে যায় হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নাম। এরপরের স্তরে, বেনাপোল পৌঁছনোর পর দেখা মেলে দালালদের সঙ্গে।
  • সেখানেও ব্যবস্থা না হলে শেষ স্তর হয় কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিট বা কিড স্ট্রিট এলাকায়। বাংলাদেশি রোগীদের বা তাঁদের পরিবারদের ওই এলাকার বিভিন্ন হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা করে দালালরা। আর সেখানেই বিভিন্ন হাসপাতালের এজেন্টরা ওত পেতে থাকেন।
  • অনেকের মতেই এতো সহজে ভারত-বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রকে ধ্বংস করা যাবে না। তাতে যেমন ভারতের ব্যবসায়িক ক্ষতি এবং বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সংকটে পরে যাবে। আগামি ভবিষ্যতে ট্রান্সলেটর কতটা বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে পারে এখন সেটাই দেখার।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার