ভাইজান পাকিস্তানে নিষিদ্ধ! নাকি পুরোটাই চাঞ্চল্যকর গুজব?

সৌদি আরবের রিয়াধে এক আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে ভারতীয় সিনেমার সাফল্য নিয়ে মুখ খুলেছিলেন সলমন খান। কিন্তু তাঁর বক্তব্যে বালোচিস্তানের নাম উচ্চারণ করতেই শুরু হয় বিতর্ক। সোশাল মিডিয়ায় দাবী ওঠে, পাকিস্তানে নাকি নিষিদ্ধ ভাইজান! যদিও পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলেনি কোনও নিশ্চিত খবর।

ভাইজানের মন্তব্যে কেন এত বিতর্ক?

• সলমন খান রিয়াধে এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক সাফল্যের প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন।
• তাঁর বক্তৃতায় ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষার ছবির ব্যবসায়িক সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
• বক্তব্যে বালোচিস্তানের নাম স্বাধীন দেশগুলির সঙ্গে উচ্চারণ করেন ভাইজান।
• এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় তীব্র সোশাল মিডিয়া বিতর্ক ও কটাক্ষ।
• নেটিজেনদের একাংশ দাবি করে পাকিস্তানে সলমন নিষিদ্ধ হয়েছেন।
• তবে এই দাবির পক্ষে কোনও সরকারি বা সংবাদমাধ্যমের প্রমাণ এখনও মেলেনি।

বালোচিস্তানের নামেই শুরু হল ঝড়!

• সলমন বালোচিস্তানের নাম অন্য স্বাধীন দেশের সঙ্গে তুলনা করেন বক্তব্যে।
• পাকিস্তানি নাগরিকদের একাংশ এতে অপমান বোধ করে সোশালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
• ভিডিওটি ভাইরাল হতে না হতেই গুজব ছড়ায় নিষেধাজ্ঞার দাবি নিয়ে।
• পাকিস্তানি সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা তাঁকে ‘দেশবিরোধী’ বলেও কটাক্ষ করেন।
• আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয় দ্রুত।
• শেষমেশ বোঝা যায়, আসলে এটি ছিল সোশাল মিডিয়ার গুজব।

গুজবের কারিগর কে নাসির আজিম?

• তদন্তে জানা যায়, নাসির আজিম নামে এক ব্যক্তি গুজবটি ছড়িয়েছিলেন প্রথমে।
• ১৬ অক্টোবর তিনি টুইট করে ভাইজানকে নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন।
• তাঁর পোস্ট দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন দেশে।
• অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন পাক সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্যি।
• কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায়, খবরটির কোনও সরকারি ভিত্তি নেই।
• বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি ছিল শুধুই ক্লিকবেট গুজব ছড়ানোর চেষ্টা।

পাকিস্তান সরকারের প্রতিক্রিয়া কী?

• পাক সরকারের তরফে এই বিষয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি আসেনি এখনও।
• সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়নি কোনও প্রমাণ বা সরকারি ঘোষণা সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
• তথ্য যাচাই সংস্থাগুলোও খোঁজ নিয়ে জানায়, এটি মিথ্যা দাবি।
• পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি নিয়ে নীরব অবস্থান নেয়।
• সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো তথ্যগুলিকে সম্পূর্ণ গুজব বলেই চিহ্নিত করা হয়।
• সলমনের বক্তব্যে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না বলেই নিশ্চিত করা হয়।

সলমনের নীরবতা নিয়েই জল্পনা!

• ভাইজান নিজে এখনও এই বিতর্ক নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি প্রকাশ্যে।
• তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, তিনি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে যেতে চান না।
• সোশাল মিডিয়ায় ভক্তরা তাঁকে সমর্থনে মুখর হয়ে ওঠেন দ্রুত।
• অনেকেই লেখেন, সলমন সবসময় শান্তি ও ঐক্যের বার্তা দেন বিশ্বে।
• ভুয়ো খবর রটানো বন্ধের আহ্বান জানান তাঁর অনুরাগীরা।
• নীরব থেকেও সলমন আবার প্রমাণ করলেন, তিনিই প্রকৃত ভাইজান।

Editor’s Note

সলমন খানের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তারকাকে ঘিরে গুজব ছড়ানো নতুন কিছু নয়। তবে এই ঘটনার বিশেষ দিক হল, একটি নিরীহ সাংস্কৃতিক বক্তব্য কীভাবে রাজনৈতিক রঙ পেল তা ভেবে দেখার মতো। একজন অভিনেতা যখন ভারতীয় সিনেমার ঐক্য ও সাফল্যের কথা বলেন, সেখানে বিভাজনের মনোভাব ঢুকিয়ে দেওয়া দুঃখজনক। প্রশ্ন উঠছে—সোশাল মিডিয়া কি এখন সত্যের বিচারক, নাকি গুজবের কারখানা?