০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lorem Ipsum is a Dummy Text

বেআইনি নির্মান শ্রীরামপুরেঃ লক্ষ টাকা জরিমানা হাইকোর্টের

শ্রীরামপুরে বহুতল নির্মাণের কারণে পার্শ্ববর্তী বাড়িতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বেআইনি নির্মানের কারনে লক্ষা টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট,বেআইনি নির্মান ভাঙ্গার নির্দেশও দিয়েছে। বেআইনি নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ঘরবাড়ি।

গঙ্গার পার বেআইনি নির্মানের দখলে

  • হুগলির শ্রীরামপুরে বেআইনি বহুতল নির্মাণের কারণে পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিষয়টি আদালতে গড়ালে কলকাতা হাই কোর্ট বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয়। তবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে নির্মাণকারী সংস্থা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেও শেষরক্ষা তো হলইনা বরং আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
  • ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম দেবপ্রসাদ বসাকের বাড়ি, যেখানে ফাটল দেখা দেয়। তিনি শ্রীরামপুর পুরসভায় অভিযোগ জানান, তবে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে ২০২৩ সালে তিনি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
  • যত্র তত্র গজিয়ে উঠছে বেআইনি নির্মান। জমি, পুকুর বুজিয়ে উঠছে বাড়ি। ফলে ফ্ল্যাট বিল্ডিঙের চাপে কয়েকদিন বাদেই ফাটল ধরছে , এবং হেলে পরছে। সম্প্রতি বাঘাযতিনে বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার পরেই এরম চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে । এখনও পর্জন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বেআইনি নির্মান, ফ্ল্যাট হেলে পরার খবর আসছে মুর্হু মুর্হু ।
  • ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতার কারণে পুরসভা সেই নির্দেশ কার্যকর করতে পারেনি। পরে নির্মাণকারী সংস্থার কর্ণধার সন্তোষ চৌধুরী হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানান। বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র আগের নির্দেশ বহাল রেখে সাত দিনের মধ্যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার অর্ডার দেন।
  • এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করেই নির্মাণকারী সংস্থা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠতেই নির্মাণকারী সংস্থা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করে। তবে আদালতে তথ্য গোপনের অভিযোগে বেআইনি নির্মাণকারী সংস্থাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
  • বেআইনি নির্মানের এই দৌরাত্মে বিপত্তির মুখে সাধারণ জনসাধারণ। একটা একটা করে বাড়ি ভাঙ্গার ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বাসিন্দা থেকে পাড়াপ্রতিবেশীরা।

গঙ্গার তীর রক্ষায় সোচ্চার শ্রীরামপুরবাসী

  • শ্রীরামপুর শহরে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। গঙ্গার তীর ঘেঁষে পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং বেসরকারি বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি হওয়ায় শহরবাসীরা এর তীব্র বিরোধিতা শুরুও করেছেন।
  • ইতিমধ্যেই তাঁরা এই অবৈধ নির্মাণগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পুরপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছেন। একদিকে ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য সংরক্ষণের কাজ অন্যদিকে গঙ্গার পাড় দখল করে বেআইনি নির্মাণের কাজ একত্রে হচ্ছে বলে দাবী করেন শহরবাসীরা।
  • পরিবেশবিদদের মতে, জোয়ার-ভাটার প্রভাবিত নদীর ক্ষেত্রে ৪৭ মিটারের মধ্যে নির্মাণ নিষিদ্ধ। অথচ এখানে মাত্র ৭ মিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে। যা পরিবেশগত দিক থেকে বিপজ্জনক এবং আইনবিরুদ্ধ। শ্রীরামপুরের ঐতিহ্য রক্ষায় সক্রিয় ‘শ্রীরামপুর হেরিটেজ রেস্টোরেশন ইনিশিয়েটিভ’ সংগঠনের পক্ষ থেকে পুরপ্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁদের মতে, এই বেআইনি নির্মাণ শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করবে তাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন শ্রীরামপুরবৃন্দ।
  • শ্রীরামপুর শহরের নাগরিক সংগঠনগুলির দাবি, গঙ্গার তীরের সৌন্দর্য এবং পরিবেশ রক্ষায় বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। সঠিক পরিবেশ মূল্যায়ন (Environmental Impact Assessment) ছাড়া কোনও নির্মাণকাজ করা উচিত নয়।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার