০৬ জানুয়ারি ২০২৫

BREAKING NEWS

Lorem Ipsum is a Dummy Text

মোটা হলেও মোটা নন আপনি! বলছে নতুন গবেষণা

স্থূলতা নিয়ে ধারণা বদলানোর সময় এসেছে বলে মত প্রকাশ করেছেন একদল বিজ্ঞানী। গবেষণা বলছে প্রচলিত ওজনের ভিত্তিতে স্থূলতা নির্ধারণ পুরোনো এবং ত্রুটিপূর্ণ।

স্থূলতা কি এবং নতুন সংজ্ঞার প্রয়োজন

  • মোটা ওজন বেশী নিয়ে চিন্তা সবার। মনমতো খাবার সরিয়ে রেখে খালি শাক, সবজি খেতে কারই বা ভালো লাগে কিন্তু স্লিম ট্রিম তো থাকতে হবে!
  • এবার থেকে আর কোনো চিন্তা নেই কারণ গবেষণা বলছে অন্য কথা, শুধু বডি মাস ইনডেক্স দেখে ওজন নির্বাচন নয় দরকার কোমরেরে পাশের চর্বিরও।
  • বর্তমানে স্থূলতা নির্ধারণ করতে সাধারণত বডি মাস ইনডেক্স বা BMI (Body Mass Index) ব্যবহৃত হয়। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি পুরোপুরি যথার্থ নয়।
  • কারণ BMI কেবল ব্যক্তির উচ্চতা ও ওজনের অনুপাত বিবেচনা করে, কিন্তু এটি শরীরের চর্বি, পেশীর অনুপাত বা স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিকে পরিমাপ করে না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে একজন সুস্থ ব্যক্তিকেও স্থূল হিসেবে গণ্য করা হয় যা ভুল চিকিৎসার পথে চালিত করছে।
  • স্থূলতা বলতে কেবল বেশি ওজন বোঝায় না; এটি এমন একটি শারীরিক অবস্থা যেখানে শরীরে চর্বির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং এর ফলেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগের।
  • বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্থূলতার একটি বিস্তৃত সংজ্ঞা তৈরি করা দরকার যা শুধু ওজন নয়, বরং শরীরের চর্বির প্রকৃতি এবং স্বাস্থ্যের অন্যান্য মাপকাঠিও বিবেচনায় নেবে এবার থেকে।
  • শুধু কেন উচ্চতার সাথে ওজন পরিমাপ করে তাকে মোটা বা রোগার তকমা দেওয়া হবে? শরীরের যাবতীয় শারীরিক দিক, কাঠামো সব দিক থেকে বিবেচনা করে তবেই তাকে মোটা বা রোগা বলা যাবে।

স্থূলতা কমানোর উপায়

স্থূলতা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের পরিবর্তন অপরিহার্য।

  1. সুষম খাদ্য গ্রহণ: শাকসবজি, ফলমূল এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
  2. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করা দরকার।
  3. পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের হরমোন ব্যালান্স বজায় রাখে।
  4. মানসিক চাপ কমানো: ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  5. চিকিৎসকের পরামর্শ: প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নতুন দৃষ্টিভঙ্গির

  • বিশেষজ্ঞরা স্থূলতাকে 'ক্লিনিক্যাল স্থূলতা' এবং 'প্রি-ক্লিনিক্যাল স্থূলতা' এই দুটি ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
  • ক্লিনিক্যাল স্থূলতা' সেই ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য যাদের অতিরিক্ত চর্বি স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যেমন হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা জয়েন্টের ব্যথা। অন্যদিকে, 'প্রি-ক্লিনিক্যাল স্থূলতা' সেই ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য যাদের অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে কিন্তু এখনও কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়নি।
  • এই নতুন সংজ্ঞা শুধু স্থূলতার চিকিৎসায় নয়, বরং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেও সহায়ক হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা স্থূলতা নির্ধারণ এবং তার প্রতিকারের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার