এসআইআর আতঙ্কে নামের গণ্ডগোল সামলাতে না পেরে প্রাণ গেল বৃদ্ধের!

রাজ্যে এসআইআর নিয়ে বাড়ছে চাপ ও অস্বস্তি, আর সেই আতঙ্কেই ইরফান খানের মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার এই বৃদ্ধ ভোটার তালিকায় নিজের নাম বদলে ‘আকালি খান’ হয়ে যাওয়ায় প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়েন। এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন অফিসে ঘুরেও সমাধান না পেয়ে বাড়ছিল ভয় ও মানসিক চাপ। অবশেষে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

এসআইআর আতঙ্কে বৃদ্ধের মানসিক ভরসা ভেঙে জীবন শেষ!

• ইরফানের নাম পরিবর্তনের ঘটনাটি তাঁকে গভীর মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ঠেলে দেয় এবং প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছিল ধীরে ধীরে।
• ভুল নাম দেখে বৃদ্ধের মনে প্রচণ্ড ভয় জন্মেছিল এবং তিনি বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কোথা থেকে সমাধান শুরু করতে হবে উপযুক্তভাবে।
• পরিবার জানায় ইরফান প্রতিনিয়ত ভয় আর দুশ্চিন্তায় কেঁপে উঠছিলেন কারণ সরকারি নথির ভুল তাঁর জীবনে বড় বিপর্যয় ডেকে আনছিল অনবরত।
• প্রতিদিন নথি নিয়ে ভাবনা তাঁকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলেছিল এবং সামান্য জটিল সমস্যাও আর সহজ মনে হচ্ছিল না মোটেও।
• বয়সজনিত চাপের সঙ্গে এসআইআর আতঙ্ক মিলিয়ে তাঁর ভিতরের আত্মবিশ্বাস দ্রুত ভেঙে যাচ্ছিল এবং স্বাভাবিক জীবনধারা সম্পূর্ণভাবে অস্থির হয়ে উঠেছিল।
• গ্রামবাসীদের মতে ইরফান শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন কিন্তু হঠাৎ নথি সমস্যায় তিনি অস্বাভাবিক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং নিজেকে একা অনুভব করছিলেন।

ভোটার তালিকায় নাম বদলে যাওয়ায় আরও বিভ্রান্তি!

• ২০০২ সালের তালিকায় তাঁর নাম স্বাভাবিক ছিল কিন্তু ২০২৫ সালের তালিকায় নাম পরিবর্তন তাঁকে ভীষণভাবে বিষণ্ন করে তুলেছিল অকারণে।
• “ইরফান খান” পরিবর্তন হয়ে “আকালি খান” হওয়ায় ভেবেছিলেন তাঁর পরিচয়ই পাল্টে যাবে এবং ভবিষ্যতে বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে বাস্তবেই।
• পরিবার বলছে বৃদ্ধ বুঝতেই পারছিলেন না কোন দপ্তরে গেলে সমস্যার সমাধান হবে এবং কোথা থেকে সঠিক নির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে সহজভাবে।
• ভোটার তালিকায় নাম বিভ্রাট তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিক ভয় সৃষ্টি করে এবং তিনি আশঙ্কা করছিলেন আচমকা সরকারি জটিলতায় পড়তে হতে পারে যেকোনোদিন।
• প্রতিটি নতুন নথি দেখে তিনি আরও বিভ্রান্ত হতেন এবং ভাবতেন কোথাও ভুল হলে তাঁকে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে অপ্রত্যাশিতভাবে চরমভাবে।
• ভুল পরিচয় তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত করেছিল এবং তিনি ভাবছিলেন প্রশাসনিক ভুলের কারণে তাঁকে অপমানজনক পরিস্থিতিতে পড়তে হবে হঠাৎই।

নথি ঠিক করতে এক সপ্তাহের দৌড়ঝাঁপ!

• পরিবার জানায় ইরফান এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন বিভিন্ন অফিসে ঘুরে বেড়িয়েছেন কিন্তু কার্যকর সমাধান পাননি ফলে হতাশা বেড়েছে প্রচণ্ডভাবে।
• স্থানীয় দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করেও তিনি কোনও নিশ্চিন্ত উত্তর পাননি বরং প্রতিবার ফিরেছেন আরও মানসিক চাপ নিয়ে নিঃশব্দে ভিতরে।
• এক দপ্তর থেকে অন্য দপ্তরে ঘুরে সমস্যার ব্যাখ্যা করতে করতে তাঁর শারীরিক ক্লান্তি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছিল এবং শক্তি কমে যাচ্ছিল প্রতিদিন।
• অফিসে প্রতিবার তাঁকে নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু সেগুলি কাজে লাগেনি এবং তিনি বুঝতে পারছিলেন না কোনটা অনুসরণ করবেন অবশেষে।
• নথি সংশোধনের অনিশ্চয়তা তাঁর হতাশা বাড়িয়েছিল এবং প্রতিটি দিন শেষে তিনি আরও ভেঙে পড়ছিলেন মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে স্পষ্টতই।
• পরিবারের দাবি অফিসগুলির অসহযোগিতাই তাঁর মানসিক ভরসা ভেঙে দেয় এবং তিনি ভাবছিলেন সমস্যা আর কোনোদিন ঠিক হবে না নির্ভুলভাবে।

বাড়ছিল চাপ ভয় আর অসহায় অবস্থা!

• প্রতিদিনকার ব্যর্থতা তাঁর মনে প্রচণ্ড ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছিল এবং তিনি ভাবছিলেন প্রশাসনিক ভুলের কারণে বড় বিপদ নেমে আসতে পারে আচমকা।
• রাতে ঘুম কমে গিয়েছিল এবং পরিবার জানায় তিনি বারবার চিন্তায় ভেঙে পড়ছিলেন কারণ সমস্যার শেষ দেখা যাচ্ছিল না কোথাও।
• মানসিক চাপ তাঁকে শারীরিকভাবে দুর্বল করছিল এবং সাধারণ কথাবার্তাতেও তিনি সহজে উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন যা আগে কখনও হতো না।
• গ্রামবাসীদের মতে ইরফান দৃশ্যত ভীত হয়ে পড়েছিলেন এবং তাঁর চেহারায় প্রতিদিন উদ্বেগ বাড়ার চিহ্ন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল নিরন্তর।
• পরিবার বুঝতে পারছিল চাপ তাঁর স্বাভাবিক আচরণ পাল্টে দিচ্ছে এবং কথা বললেই মনে হচ্ছিল তিনি গভীর ভয়ের মধ্যে ডুবে আছেন চুপচাপ।
• অফিসে যাওয়ার আগের রাত থেকেই তিনি আতঙ্কিত হয়ে থাকতেন কারণ পরদিন আবার নতুন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা তাড়া করত লাগাতার।