০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lorem Ipsum is a Dummy Text

স্কুল সার্ভিস কমিশন বিতর্ক কাড়বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবন?

  • এসএসসি (SSC) নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মূল অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে জেলবন্দি। জ্যোতির্ময় সিংহ-এর অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ চিরতরে বন্ধ করে দিতে চাইছে। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন।
  • এসএসসি (SSC দুর্নীতি ) নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে নিয়ে রীতিমত তোলপাড় রাজ্য। যোগ্য প্রার্থিরা রাস্তায় আন্দোলনরত অন্যদিকে অবৈধভাবে চাকরি পেয়ে স্কুল শিক্ষক হয়েছেন বহু মানুষ।
  • কেন্দ্র থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিতর্ক (SSC দুর্নীতি ) এই বিষয়ে চিঠি লিখে জ্যোতির্ময় বলেন, নিজেদের শ্বার্থের জন্য পার্থকে ঠিক সরিয়ে দিতে পারে তৃণমূল। যদি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর এক্ষুনি সুরক্ষার ব্যাবস্থা না করা হয় তাহলে সব ধামাচাপা পরে যাবে।
  • তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম (SSKM) থেকে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত হয়েছেন। এসএসকেএমকে "তৃণমূল নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল" বলে ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, মামলাটি যখন নিষ্পত্তির পর্যায়ে, তখন শাসকদল পার্থকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চাইছে।“
  • শুধু তাই নয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আর্জি জানিয়েছেন, স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) পাকাপাকি ভাবে তুলে দেওয়ার জন্য। জ্যোতির্ময়ের মতে যোগ্য প্রার্থীরা তবেই একমাত্র ন্যায়বিচার পাবে।
  • সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এই চিঠিতে জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাত বলেছেন “"বাংলার স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আর্জি জানাই, স্কুল সার্ভিস কমিশন পাকাপাকি ভাবে তুলে দিন। যোগ্য প্রার্থীদের ন্যায়বিচার দিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিরাপত্তা দিন। তৃণমূল চিরতরে ওঁর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।“

বাতিলের দাবি স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC দুর্নীতি )

  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার পাশাপাশি, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাত স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁর মতে, কমিশনটি বছরের পর বছর ধরে শুধু দুর্নীতি করে গেছে এবং চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায্যতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
  • অসংখ্য যোগ্য মানুষের সর্বনাশ করেছে তৃনমূল। টাকা দিয়ে নিজেদের পকেট ভরিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুর্নিতির চরম শিখরে নিয়ে গেছে SSC কে। এখন যদি পার্থর জীবনসংশয় ঘটে তাহলে হাজার হাজার মানুষের সাথে হওয়া অন্যায়ের সুবিচার হবে না কোনোদিন।
  • তিনি উল্লেখ করেছেন যে, বেআইনি ভাবে নিযুক্তদের আড়াল করা হচ্ছে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই তিনি SSC-র পরিবর্তে একটি নতুন ও স্বচ্ছ নিয়োগ বোর্ড গঠনের সুপারিশ করেছেন। তাহলে কি এখন থেকেই বিজেপি বাংলায় তাদের রাজত্বের স্বপ্নে মশগুল হয়ে নতুন কমিশনের চিন্তা ভাবনাও করে ফেলেছে?
  • মঙ্গলবার, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাত প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে (MHA) ট্যাগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, "বাংলার স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি আসলে একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। এটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা দরকার। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে, কারণ তৃণমূল কংগ্রেস তাকে চিরতরে চুপ করিয়ে দিতে চাইছে।"
  • এই পোস্টের সঙ্গে তিনি "SSC Scam"( SSC দুর্নীতি) , "Save Bengal" হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেন, যা দ্রুত রাজনৈতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি করে। কি বলছেন বিরোধীরা?

কি বলছেন বিরোধীরা?

  • তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। দলের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, "যত অশিক্ষিত হলে যা হয়, তাই বলছে। SSC কি ভেঙে ফেলা যায়? পার্থ চট্টোপাধ্যায় যদি নিরাপত্তা চান, বিজেপি নিজেই দিয়ে দিক!"
  • এই নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। একদিকে যখন বিজেপি নেতারা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ও স্কুল সার্ভিস কমিশন SSC দুর্নীতি বিতর্ক বিষয়টিকে বিরোধী পক্ষকে খোঁচাতে ব্যাস্থ, তখনই অন্যদিকে তৃণমূল এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

যত ঘটনার মূল এই স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC দুর্নীতি )

  • ২০১৬ সালে এসএসসি স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC দুর্নীতি ) নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য একটি প্যানেল প্রকাশ করে। তবে তদন্তে উঠে আসে যে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে।
  • তদন্তে জানা গেছে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরাও এই দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন। বিশেষ করে, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির প্রস্তাব রাজ্য মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে আদালতের নজরে আসে। সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে যে, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং অভ্যন্তরীণ অনিয়ম এই দুর্নীতির মূল কারণ।
  • পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় প্রায় কয়েক কোটি টাকা। এরপরেই SSC দুর্নীতি-র অভিযোগে জেলে যান মন্ত্রী। স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে জলঘোলা এখনও বর্তমান।আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বিরোধীদের এক হাতে নিতে ব্যাস্থ বিজেপি।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার