০৬ জানুয়ারি ২০২৫

West Bengal Politics Might See ‘Left Resurgence in Bengal’

পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনের আগে পুনরুজ্জীবনের পথে CPI(M)

CPI(M)-এর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম বললেন ‘আমরা হেরেছি, কিন্তু সরে যাইনিI’ ব্যালট বাক্স ভরতে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে বামফ্রন্টের কৌশল এবার ক্যাডার উন্নয়ন, তরুন ভোটারদের সংযোগ, ডিজিটাল প্রচার, কোনোটাই বাদ যাচ্ছে নাI

ফিরে আসার লক্ষ্যে, CPI(M)-এর নজর ৫০টি আসনের দিকে!

  • পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান অবস্থান থেকে দলকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্য নিয়ে, CPI(M)-এর রাজ্য নেতৃত্ব তাদের সদস্যদের জন্য একটি বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করে। রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম এই বিশেষ অধিবেশনকে রাজ্য সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন।
  • পুনরায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার প্রচেষ্টায়, CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম পাঁচটি উদ্যোগের ঘোষণা করেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্যোগগুলোর নামকরণ করা হবে দলের বিশিষ্ট নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, সরোজ মুখোপাধ্যায়, প্রমোদ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং অনিল বিশ্বাসের নামে।
  • দলীয় সূত্রে জানা গেছে, CPI(M) পৃথক রাজ্য-স্তরের এবং জেলা-স্তরের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় গবেষণা দল গঠন করা হবে, যা প্রচার সামগ্রী বিশ্লেষণ ও সোশ্যাল মিডিয়া উদ্যোগ এর দায়িত্ব পালন করবে। অন্যদিকে, জেলা পর্যায়ে দুটি কমিটি গঠিত হবে—একটি জেলা টাস্ক ফোর্স এবং অপরটি জেলা ওয়ার রুম যেটি ডেটা মাইনিং, প্রচার ব্যবস্থাপনা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনার করবেI এটি CPI(M)-কে মাইক্রো-লেভেলে বিধানসভা কেন্দ্র পরিচালনা করতে সক্ষম করবে এবং দলকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে যে কোন আসনগুলোর উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
  • বিশেষ ক্যাডার উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ক্যাডার ভিত্তি শক্তিশালী করা হবেI ক্যাডারদের শেখানো হবে কোন বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, নির্দিষ্ট অঞ্চলে কোন স্থানীয় পর্যায়ের প্রচার চালানো উচিত এবং কীভাবে কাউকে সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লক্ষ্যবস্তু করা উচিতI
  • মোহাম্মদ সেলিম এবার দলীয় সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করবেন। প্রথম দফায় যেখানে তিনি দলের নেতৃত্বে নতুন মুখ আনার ওপর জোর দিয়েছিলেন, এবার তিনি সংগঠনের ভিত্তি মজবুত করার দিকে মনোনিবেশ করবেন।

ভোটের ঝুলি ভরতে বামফ্রন্টের এবার ডিজিটাল প্রচারে সক্রিয়!

  • CPI(M) বাংলায় প্রচার পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক কৌশলবিদ নিয়োগ করছে। দলটি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ডিজিটাল মার্কেটার, কনটেন্ট রাইটার এবং গ্রাফিক ডিজাইনার নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
  • এবার যোগ্য পেশাদাররা প্রচারের কৌশল তৈরি করার পাশাপাশি কন্টেন্ট তৈরি করবেনI
  • কোভিডের সময় পার্টি মানুষের কাছে পৌঁছেছে সোশ্যাল মিডিয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার করে। কিন্তু এবার দলকে সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিনির্ভর এমন দল দরকার, যারা ডেটার সাথে কাজ করতে দক্ষ।

সিপিআই(এম) ডিজিটাল প্রচার কৌশল

  • সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি
    • - প্ল্যাটফর্ম ফোকাস: ফেসবুক, এক্স (টুইটার), ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, এবং হোয়াটসঅ্যাপ-এর মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার।
    • - স্থানীয়করণ করা বার্তা: বাংলায় ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে ভোটারদের কাছে পৌঁছানো। লাইভ স্ট্রিম ও প্রশ্নোত্তর সেশন: দলীয় নেতারা লাইভে এসে জনগণের সাথে সরাসরি আলোচনা করবেন।
  • ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্রচার
    • - টার্গেটেড ফেসবুক ও গুগল বিজ্ঞাপন: যুবসমাজ, প্রথমবারের ভোটার ও শ্রমজীবী শ্রেণীর উপর বিশেষ গুরুত্ব।
    • - ইউটিউব ক্যাম্পেইন: ছোট কিন্তু শক্তিশালী ভিডিও, যেখানে সিপিআই(এম)-এর সাফল্য ও নীতিগুলি তুলে ধরা হবে।
    • - ইনফ্লুয়েন্সার সহযোগিতা: সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা।
    • - হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম সংযোগ
    • - হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ: অঞ্চলভিত্তিক গ্রুপ তৈরি করে রিয়েল-টাইম সমন্বয় ও আপডেট প্রদান।
    • - ব্যক্তিগত বার্তা: ছোট ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ও ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে নীতিগুলোর সহজ ব্যাখ্যা।
    • - টেলিগ্রাম চ্যানেল: অফিসিয়াল আপডেট ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার।
    • - ইনস্টাগ্রাম রিলস ও সংক্ষিপ্ত ভিডিও কন্টেন্ট: বিরোধীদের অপপ্রচার রুখতে আকর্ষণীয় ও তথ্যনির্ভর কন্টেন্ট তৈরি, চাকরি, মূল্যবৃদ্ধি, বেসরকারিকরণ ইত্যাদি বিষয়ে নেতাদের বক্তব্যের ছোট ছোট ক্লিপI
  • মাঠ পর্যায়ের ডিজিটাল সমন্বয়
    • - ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক দল: প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণ ও সংগঠন গঠন।
    • - বুথ-ভিত্তিক ডিজিটাল কৌশল: প্রত্যেক বুথে নির্দিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যক্রম সমন্বয় করাI
  • ডেটা-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি
    • - মনোভাব বিশ্লেষণ: ভোটারদের মনোভাব পর্যবেক্ষণ করতে এআই টুল ব্যবহার করা ও তার ভিত্তিতে প্রচারের কৌশল পরিবর্তন।
    • - পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ: কোন ধরনের কন্টেন্ট সবচেয়ে বেশি সাড়া পাচ্ছে তা নিয়মিত মূল্যায়ন ও কৌশল উন্নয়ন।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার