হরিদেবপুরে রাস্তায় গুলিবিদ্ধ মহিলা, আতঙ্কে কাঁপল গোটা এলাকা!

সোমবার সকালেই হরিদেবপুরে রাস্তায় রক্তাক্ত দৃশ্য। স্থানীয়দের চোখের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

গুলির শব্দে কেঁপে উঠল হরিদেবপুরের সকাল!

• সোমবার সকাল ছ’টার পর আচমকাই এক মহিলার চিৎকারে ঘুম ভাঙে এলাকার বাসিন্দাদের।
• টায়ার ফাটার মতো শব্দে প্রথমে কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেননি।
• বাইরে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপর পড়ে আছেন এক মহিলা।
• প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক যুবক বাইকে এসে আচমকা গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
• ঘটনাস্থলে মুহূর্তে ভিড় জমে যায়, আতঙ্কে চারদিক ছুটোছুটি শুরু হয়।
• পুলিশ পৌঁছনোর আগেই স্থানীয়রা আহত মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

আহত মহিলার নাম মৌসুমী হালদার, বয়স ৩৮ বছর!

• পুলিশ সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ মহিলার নাম মৌসুমী হালদার, স্থানীয় বাসিন্দা।
• সকালবেলা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি, তখনই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক ঘটনা।
• তাঁর পিঠে গুলি লেগেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।
• প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এমআরআই বাঙ্গুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য।
• অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
• তাঁর অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের চোখে ভয়াবহ সেই মুহূর্ত!

• স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, রাস্তা দিয়ে মহিলা হেঁটে যাচ্ছিলেন তখনই গুলি চলে।
• কেউ ভাবতেও পারেননি সকালের শান্ত পরিবেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
• গুলির শব্দের সঙ্গে সঙ্গে মহিলার আর্তচিৎকার শুনে বাইরে ছুটে আসেন সবাই।
• তাঁরা দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা, মহিলা নিস্তেজ হয়ে পড়ে আছেন।
• পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
• স্থানীয়দের সাহায্যে মহিলার ছেলেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুরোনো শত্রুতা নাকি ছিনতাইয়ের চেষ্টা?

• প্রাথমিকভাবে পুলিশ ঘটনার পেছনে একাধিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
• স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।
• ঘটনার সময় ওই মহিলার কাছ থেকে কিছু ছিনতাই হয়েছে কিনা খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
• পাশাপাশি ব্যক্তিগত শত্রুতা বা পারিবারিক বিবাদের দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
• এলাকাজুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে অপরাধীর খোঁজে।
• ঘটনার পেছনে কোনও বড় চক্র রয়েছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এলাকায় আতঙ্ক, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্থানীয়রা!

• এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
• বাসিন্দারা জানান, প্রকাশ্য রাস্তায় এমন গুলি চালনা আগে দেখেননি।
• তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, সকালে এমন ঘটনা ঘটলে রাতে নিরাপত্তা কোথায়।
• এলাকার মহিলারা বিশেষভাবে ভীত হয়ে পড়েছেন এই ঘটনার পর।
• স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় পুলিশের টহলদারি আরও বাড়ানো হোক।
• অনেকে বলেছেন, অপরাধীরা নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলেই এমন ঘটনা ঘটছে।

অপরাধীর খোঁজে পুলিশের তল্লাশি তৎপরতা শুরু!

• গুলিচালনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা চলছে।
• সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি করে তাদের খোঁজে নেমেছে পুলিশ।
• একাধিক জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে অভিযুক্তকে ধরার উদ্দেশ্যে।
• অপরাধীর গতিবিধি বুঝতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে দ্রুতগতিতে।
• পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নিজেরাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
• যত দ্রুত সম্ভব দোষীকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

Editor’s Note

রাতের অন্ধকার নয়, ভোরের আলোয় গুলি! এ কোন শহরে আমরা বাস করছি? হরিদেবপুরের রাস্তায় রক্তাক্ত মৌসুমী হালদার, আর আমরা কেবল দর্শক? প্রকাশ্য দিবালোকে এমন নির্মম গুলিচালনা—এর দায় কে নেবে? পুলিশি টহল কোথায় ছিল? অপরাধীরা এত সাহস পেল কীভাবে? একের পর এক গুলি, আর তার সঙ্গে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা-বোধ।এই শহরে সকালের হাঁটতেও কি ভয় পেতে হবে? মৌসুমী হালদার আজ হাসপাতালের বেডে লড়ছেন জীবনের সঙ্গে, কিন্তু প্রশাসন কি লড়ছে অপরাধের বিরুদ্ধে? না কি আবারও ফাইলের নিচে চাপা পড়বে হরিদেবপুরের রক্তের দাগ? সামনেই ভোট এই ভোটের সময় যারা মঞ্চে উঠে বড় বড় ভাষণ দেয়। আপনার পর্যায় দরজায় ভোট চাইতে আসে তাদেরকে প্রশ্নগুলো কোনদিনও করেছেন কি?