দুধিয়া সেতু পেরিয়ে ফের ছুটল বাস মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রাখল রাজ্য সরকার

প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ফের চালু হল শিলিগুড়ি-মিরিক রুটের বাস পরিষেবা। দুধিয়া সেতু ভেঙে যাওয়ায় বন্ধ ছিল যাতায়াত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো অস্থায়ী সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করে মাত্র ১৬ দিনেই ফের চালু হল পরিবহন পরিষেবা, খুশিতে মুখর উত্তরবঙ্গবাসী।

দুধিয়া সেতু ভাঙতেই বন্ধ বাস, মানুষ হাঁটল পায়ে হেঁটে!

• প্রায় ২০ দিন ধরে দুধিয়া সেতু ভেঙে থাকায় শিলিগুড়ি-মিরিক রুটে স্থবির ছিল যান চলাচল।
• স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে হেঁটে বা বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছাতেন।
• স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছিল।
• রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটতে হয়েছে বহু গ্রামীণ মানুষকে।
• এলাকার দোকানপাট ও পর্যটন ব্যবসা মার খেয়েছিল ভীষণভাবে।
• সবাই মুখিয়ে ছিলেন কবে আবার সেতু পার হবে তাঁদের প্রিয় বাস।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন “আস্থা রাখুন”, কাজও হল বাজিমাত!

• মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দ্রুত অস্থায়ী সেতু তৈরি করবেন।
• প্রশাসন রেকর্ড সময়ে মাত্র ১৬ দিনেই কাজ সম্পন্ন করে।
• কাজের গতি দেখে এলাকার মানুষ অবাক হয়ে গিয়েছেন।
• বহু মানুষ বলছেন, “এত তাড়াতাড়ি হবে ভাবিনি!”
• মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ পেয়েছে দেখে খুশিতে ভরেছে উত্তরবঙ্গ।
• “দিদি মানে কাজের দিদি”—এই মন্তব্যেই ভেসেছে এলাকাবাসী।

ছোট গাড়ি থেকে বাস—সবাই ফিরল পুরনো ছন্দে!

• ২৭ নভেম্বর থেকে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হয় দুধিয়া সেতুতে।
• আজ থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের বাসও ফিরল রাস্তায়।
• ২৪ দিন পর ফের বাস চলতে দেখে আনন্দে ভাসল এলাকাবাসী।
• তিনটি বাস দিনে ছয়টি ট্রিপ দেবে যাত্রীদের সুবিধার্থে।
• যাত্রী ও চালকদের মুখে একটাই কথা—“এ যেন নতুন শুরু।”
• পরিবহন কর্মীরা বললেন, “এবার রাস্তায় ফের প্রাণ ফিরেছে!”

ব্রিজে দাঁড়িয়ে নিগম চেয়ারম্যানের ‘সেলফি মোমেন্ট’!

• আজ দুধিয়া সেতুতে উপস্থিত ছিলেন নিগম চেয়ারম্যান ও ডিভিশনাল ম্যানেজার।
• তাঁরা সেতুর উপর দাঁড়িয়ে নিজের চোখে দেখলেন প্রথম বাস চলাচল।
• যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন চালক ও কর্মীদের সঙ্গে।
• বহুজন ফোনে ছবি তুললেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের।
• এলাকাবাসী করতালিতে বরণ করল তাঁদের, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠল সেতু চত্বর।
• কেউ কেউ বললেন, “এ তো শুধু ব্রিজ নয়, আশা ফিরে আসার প্রতীক!”

৪৬৮ মিটার সেতুতে পাইপের কারিগরি ম্যাজিক!

• অস্থায়ী সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৬৮ মিটার, প্রস্থ ৮ মিটার।
• এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১২০০ মিমি ব্যাসের ১৩২টি হিউম
• মাত্র ১৬ দিনেই এত বড় সেতু সম্পূর্ণ হওয়া সত্যিই নজিরবিহীন।
• ইঞ্জিনিয়াররা দিনরাত এক করে কাজ শেষ করেছেন নির্ধারিত সময়ে।
• স্থানীয়রা বলছেন, “এ যেন পাইপের মধ্যে দিয়ে ছুটে আসা আশার সেতু।”
• সেতু তৈরি দেখে সবাই বলছেন, “এটাই মমতা-ম্যাজিক!”

নতুন সেতুর কাজেও চলছে পুরোদমে প্রস্তুতি!

• ১৯৬৫ সালে তৈরি পুরনো সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ায় নতুন সেতুর কাজ শুরু হয়েছে।
• রাজ্য সরকার ₹৫৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।
• অস্থায়ী সেতু আপাতত ব্যবহৃত হলেও স্থায়ী সেতু হবে আধুনিক নকশায়।
• স্থানীয় মানুষ বলছেন, “স্থায়ী সেতু হলে উন্নয়ন পাবে পুরো এলাকা।”
• ইঞ্জিনিয়াররা প্রতিদিন অগ্রগতি তদারক করছেন মনোযোগ সহকারে।
• রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, “দুধিয়া থেকে মিরিক—রাস্তায় আর যেন বাধা না আসে!”

Editor’s Note

দুধিয়া সেতু নিয়ে যা ঘটল, তাতে যেন সিনেমার স্ক্রিপ্টই বাস্তবে দেখা গেল! ২০ দিন ধরে রাস্তায় ধুলো, ধোঁয়া আর মানুষের হাঁটা—সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গবাসীর জীবন ছিল বিপর্যস্ত। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর এক ঘোষণা—“অস্থায়ী সেতু হবেই।” আর সত্যিই হলও তাই! মাত্র ১৬ দিনে সেতু তৈরি, গাড়ি ছুটল, মানুষের মুখে হাসি ফিরল। নিগম চেয়ারম্যান সেতুর উপর দাঁড়িয়ে গর্বে উজ্জ্বল, যাত্রীরা সেলফি তুলছেন, চালকরা হর্ন বাজিয়ে আনন্দ জানাচ্ছেন—পুরো দৃশ্যটাই যেন উৎসব। তবু প্রশ্ন থেকে যায়—এই অস্থায়ী সেতুর আনন্দ কতদিন টিকবে, আর নতুন সেতু কি সত্যিই সময়মতো তৈরি হবে?