০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Bengali BJP Seems to be in Leaderhsip Crisis

২০২৬ নির্বাচন: বঙ্গ বিজেপির খেলাক্ষেত্র যেন পিচ্ছিল হয়ে উঠছে, খেলা হবে?

দুয়ারে কড়া নারছে ২৬ এর বিধানসভা ভোট। তার আগেই নেত্রীত্ব নিয়ে নাজেহাল বঙ্গ বিজপি। আদি কর্মীদের অভিযোগ দলে চলছে অরাজকতা চাই সম্পূর্ণ রাজ্য রাজ্য সম্পাদক অথবা, ফিরিয়ে আনার ডাক দিলিপ ঘোষকে।

অসন্তোষ দলের ভিতরেই?

  • চৌকাঠে দাড়িয়ে বিধানসভা ভোট। তার আগেই অবস্থা খারাপ বঙ্গ বিজেপির। কে হবে বাংলায় বিজেপির হর্তা কর্তা তা নিয়ে ক্রমশ পাকাচ্ছে জট। কারণ যাকে বিজেপি বাংলায় সামনে রেখে এই লড়াই লড়তে পারে শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তো চলছেন তার মতন করে।
  • এই অবস্থায় নাড্ডাকে মেইল করে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন বিজেপির আদি কর্মীরা।
  • নেতৃত্বের অভাবে দিশাহীন অবস্থা তৈরি হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরেও বিজেপি সংগঠনের দুর্বলতা একান্তই স্পষ্ট হয়ে উঠছে বারংবার।

পূর্ণ রাজ্য সভাপতির ডাক

  • সুকান্ত মজুমদার বর্তমান রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় তিনি সময় দিতে পারছেন না, ফলে সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট হচ্ছে ক্রমশ। সাংগঠনিক নির্বাচনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে।
  • তথাগত রায়ের মতো প্রবীন ও অভিজ্ঞ নেতা পর্জন্ত বিজেপির এই খামখেয়ালি পনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন “দিল্লীতে বসে কিভাবে বাংলাকে চালাবে বিজেপি? এইভাবে কোন রাজনৈতিক দল কিভাবে চলতে পারে?” তিনি নিশ্চিত ২০২৬ নির্বাচন জেতার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজন একজন সম্পূর্ণ রাজ্য সম্পাদক।
  • সুকান্ত মজুমদারের পর পরবর্তী রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই তিন বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন এবং বর্তমানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
  • সূত্রের মতে, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী সদস্যসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন, সম্ভবত এটি জনমনে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে। এক বিজেপি অভ্যন্তরীণ নেতা বলেন, “তথ্যকে যেন রাজ্যের গোপন নথির মতো লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। এটি শুধুই প্রমাণ করে কতটা স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে বিষয়টি।”

দিলীপ ঘোষ অনুগামীদের মনোভাব 'ঘোষ ফিরে আসুক'

  • উচ্চ পর্যায়ে নতুন দলবদলু ও পুরনো সদস্যদের মধ্যে বিশেষ করে টিকিট বিতরণ নিয়ে মতবিরোধ চলছে। দিলীপ ঘোষ, যিনি পূর্বে মেদিনীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন, তাকে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করা হয়। এর ফলে তিনি পরাজিত হন এবং এমনকি মেদিনীপুর আসনটিও বিজেপি হারায়।
  • এই অবস্থায়, দিলীপ ঘোষের অনুগামীরা দিলিপবাবুকে ফের রাজ্য সভাপতি করার দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন। তাঁদের মতে, দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই ২০১৬ থেকে ২০২১-এর মধ্যে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল বঙ্গ বিজেপি । এই দাবির সমর্থনে দলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি রামকমল পাঠকও একই মত পোষণ করেছেনI
  • এই অবস্থায়, দিলীপ ঘোষকে পুনরায় রাজ্য সভাপতি করার দাবি উঠেছে দলের একাংশ থেকে।

বর্ষিয়ান থেকে নবীন, মতের অমিলে নাজেহাল বঙ্গ বিজেপি

  • পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে পুরনো ও নতুন নেতাদের মধ্যে মতবিরোধের বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। বিশেষ করে, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই মতবিরোধ তীব্রতর হয়। দলের অভ্যন্তরে অভিজ্ঞ ও নবীন নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব ও কৌশলগত বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যায়। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় প্রকাশ্যে দলের নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন, বিশেষ করে উপনির্বাচনে পরাজয়ের পর। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে হিন্দিভাষী ও বাংলা-বিরোধী দল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন এবং এই ধারণা পরিবর্তনের জন্য দলের মধ্যে একটি পাল্টা-বিবরণ প্রয়োজন।
  • এছাড়াও, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তরুণ নেতাদের সামনে আনতে উদ্যোগী হয়েছে, যা কিছু ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণ হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় দলের মধ্যে প্রজন্মগত ফাঁক স্পষ্ট হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিফলিত হয়েছে।
  • এই মতবিরোধের ফলে দলের অভ্যন্তরীণ সংহতি ও কার্যকারিতায় প্রভাব পড়তে পারে, যা ভবিষ্যতে নির্বাচনী সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলায় টলমল বিজেপি

  • বাংলায় ভোট পেতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। ক্রমাগত আউরে যাচ্ছে একই বুলি ২০২৬ এ নাকি তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি হবে নতুন সরকার! কিন্তু কিভাবে?
  • দলের এই অরাজকতায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে বর্তমান রাজ্য বিজেপি দল। সামাজিক মাধ্যমে বেলাগাম বিজেপিকর্মিরা। যে যেভাবে খুশি পোস্ট শেয়ার করছে, ফলে দলের মধ্যেই যে নিয়ন্ত্রনের অভাব তা ক্রমাগত চোখে পড়ছে।
  • সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপি কর্মীরা সল্ট লেক সিটির পার্টি অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের বিক্ষোভের মুখে নেতারা অফিসে নিজেদের আটকে রাখতে বাধ্য হন। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অফিসের প্রধান গেটের তালা ইট দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন এবং পরদিন মুরলিধর সেন স্ট্রিটের পার্টি সদর দফতরে মিছিল করেন।
  • মিছিলে তারা পার্টির পতাকা ও সিনিয়র নেতাদের পোস্টারে পদদলিত করেন এবং 'পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি বাঁচাও' স্লোগান দেন।
  • দলের অভ্যন্তরে বিভাজন এতটাই গভীর যে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে বাঁকুড়ায় তার কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি এমন সময়ে ঘটছিল যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কলকাতায় সফর আসন্ন।
  • ১৮ মার্চ, ২০২৫, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বাসভবনে ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
  • এই বৈঠকে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য রাজু বিস্তা, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জগন্নাথ সরকার, খগেন মুর্মু এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।তবে, দলের প্রাক্তন এবং সবচেয়ে সফল সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসন অর্জন করেছিল।
  • যেদিন এই বৈঠক হয়, সেদিন রাতেই সারা দক্ষিণ কলকাতা, বিশেষ করে ঢাকুরিয়া জুড়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এমনকি পার্ক করা গাড়ির উপরেও এবং দেবশ্রী চৌধুরীর অফিসের দেওয়াল ভেঙে তার ওপরেও পোস্টার সাঁটানো হয়েছে, যেখানে লেখা ছিল যে টাকা, মোবাইল, গাড়ি দিলে বিজেপি সভাপতির পদ পাওয়া যাবে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে এবং জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য অভিযোগ করছেন জেলা সম্পাদকদের বিরুদ্ধে এবং এটি তাঁরই চক্রান্ত। আশ্চর্যের বিষয়, পোস্টারগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

৮০ শতাংশ মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন, কেনো?

  • মণ্ডল, যা বিজেপির সবচেয়ে ছোট সাংগঠনিক ইউনিট, দলের তৃণমূল স্তরের কাঠামোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দলের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির একটি ক্ষুদ্র প্রতিচিত্র হিসেবে কাজ করে। যদি এসব ইউনিট পর্যাপ্ত কর্মীসংখ্যার অভাবে দুর্বল বা অকার্যকর হয়ে পড়ে, তাহলে ভোটারদের সংগঠিত করার বিজেপির সক্ষমতা মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।
  • বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের ১,৩৭৮টি মণ্ডলের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ মণ্ডল সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দলকে নতুন উদ্যমে সংগঠিত করা এবং স্থানীয় স্তরে কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা মণ্ডল সভাপতিদের মধ্যে পরিবর্তন এনেছি যাতে নতুন নেতৃত্ব উঠে আসে এবং দল আরও শক্তিশালী হয়।"
  • শুধু মণ্ডল সভাপতিদের দিয়ে কি বাংলা জেতা সম্ভব হবে বিজেপির? রাজ্য বিজেপি সংকট কাটবে? উত্তর ২৪ পরগনার এক বুথ-স্তরের কর্মী আক্ষেপ করে বলেন, “প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পদগুলি কীভাবে বণ্টন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো স্বচ্ছতা নেই।”
  • বিজেপি আগামী দিনে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কর্মী সম্মেলন এবং জনসভা আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। তারা স্থানীয় ইস্যুগুলোকে সামনে রেখে জনমত গঠনের চেষ্টা করবে। এছাড়া, সামাজিক মিডিয়া এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে তাদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে।
  • ২০২৪ লোকসভা ভোটেও খারাপ ফলাফল করে বিজেপি সেখানেও অভিষেক ব্যানার্জির কাছে হেরে যাওয়া বিজেপি লোকসভা প্রার্থী অভিজিৎ দাস বলেন "কারণ হল দলটি তার কর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না,"।

বাংলার বিজেপির উপর কেমন প্রভাব আরএসএসের?

  • মহারাষ্ট্র, দিল্লী, উত্তর প্রদেশে আরএসএস কর্মীরাই মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন। তাহলে বাংলায়ও কি কোনোভাবে সম্ভাবনা আছে আরএসএস কর্মীর মন্ত্রী হওয়ার।
  • নাকি বাংলায় তৃনমূল ছারা কেউ জিততে পারবে না বলে আরএসএস কর্মিদের পাতেও তুলছে না বিজেপি।
  • বিজেপি তাদের ২০২৬ ভোটের আগে ঠিকভাবে বলতে না পারলেও বাংলা সফরে এসে ভাগবত কিন্তু বিজেপির দাবী ও মিশন সেট করে গেছে।
  • ১০ দিনের কর্মসুচিতে ভাগবত, সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গ সফর সঙ্ঘের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে নতুন দৃষ্টিকোণ উন্মোচন করেছে। এই সফরে তিনি সঙ্ঘের কার্যক্রম বৃদ্ধির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির অবস্থান সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
  • রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত সফরে সঙ্ঘের সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ বৃদ্ধি এবং সংগঠনের কার্যক্রম দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গ প্রান্তের এক পদাধিকারীর মতে, সঙ্ঘের শতবর্ষ উদযাপনের এই সময়ে সদস্যদের উদ্দীপনা কাজে লাগিয়ে সংগঠনের ব্যাপ্তি দ্বিগুণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • শুধু তাই নয়, সঙ্ঘ ও বিজেপি যৌথভাবে পৌরাণিক পূর্ব ভারতের অঙ্গ, বঙ্গ ও কলিঙ্গ অঞ্চলকে একত্রিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। বর্তমানে অঙ্গ (বিহার) ও কলিঙ্গ (ওড়িশা) অঞ্চলে বিজেপির অবস্থান সুদৃঢ়। এখন তাদের লক্ষ্য বঙ্গ (পশ্চিমবঙ্গ) জয় করা।
  • আরএসএস প্রধান বাংলায় এসে বঙ্গ জয় করার কথা সব্বসমক্ষে বললেন তাহলে কি এবার বাংলাতেও বঙ্গ বিজেপির দলে দেখা যাবে কোন আরএসএস ক্যাডারকে?

প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে

  • বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও পশ্চিমবঙ্গে দলের কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেও এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজ্যে একাধিকবার সফর করলেও বাংলায় সেইভাবে তাদের কর্মসুচি ঠিকভাবে যে পালন হচ্ছে না তা বোঝাই যাচ্ছে।
  • গত অক্টোবর মাসে যখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির জন্য ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য ঘোষণা করেন, তখন এটি ছিল তৃণমূল স্তরে সংগঠিত হওয়ার একটি স্পষ্ট আহ্বান। কিন্তু ১৫ জানুয়ারির সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর, দল বুঝতে পারে যে তারা লক্ষ্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে, কারণ মাত্র ৪১ লক্ষ সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
  • এর চেয়েও খারাপ, রাজ্যে সক্রিয় বিজেপি সদস্যের সংখ্যা মাত্র ৪৫,০০০, যা সাংগঠনিক চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। অথচ এই দল আগামী নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের ক্ষমতা শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।
  • বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরীণ মহল সদস্য সংগ্রহের ব্যর্থতার জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করছে। বারবার সময়সীমা বাড়িয়েও দল তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এক জেলা স্তরের নেতা বলেন, “দ্বারেদ্বারে প্রচার থেকে ডিজিটাল যোগাযোগ—আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি।" তবে বারবার নির্বাচনী পরাজয় ও প্রকাশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে উদ্দীপনা অনেকটাই কমে গেছে।”
  • পরের বছরেই বিধানসভা নির্বাচন সেই প্রচারেও হাত গুটিয়ে বসে বঙ্গ বিজেপি। বাংলায় তৃণমূলের ক্যাম্পেনের মুখ অভিষেক ব্যানার্জী, তার প্রতিপক্ষে বাংলায় বিজেপির কোন মুখ কি স্পষ্ট করে ঠিক করতে পেরেছে বঙ্গ বিজেপি?
  • তথাগত রায়, রাহুল সিনহা যাদের হাত ধরে বাংলায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বিজেপি। তারাও বা কই
  • দলের নেপথ্যে থেকে কি কাজ করছে তারা? এরম অভিজ্ঞ মানুষদের কথা মতন আদপেও বিজেপি চলছে তো? তাহলে কেন এই বেহাল অবস্থা বঙ্গ বিজেপির?

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার