Happening Now
2026 Bengal Polls, battleground for TMC vs BJP
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটে বাংলার মসনদে বসবে একমাত্র বিজেপি, বললেন কে?
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ২০২৬ ভোটে জয়ী হবে বিজেপি এবংতাঁদের ভোট শতাংশ ১০% বৃদ্ধি করার কৌশলগত লক্ষ্য নির্দেশ করছেI দিল্লীর মঞ্চ থেকে এমন বার্তাই ছুরে দিলেন কেন্দ্রীয় বিজেপি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।


দিল্লির জয় আমাদের, ২০২৬-এ বাংলার পালা
- দিল্লীর ভোটে জিতে আত্মবিশ্বাস কয়েকগুন বেরেছে বিজেপির। আপ সরকারকে একদম ডাউন করে দিয়ে এবার লক্ষ্য বাংলার সিংহাসন।
- পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ২০২৬ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, দিল্লির মতো বাংলাতেও পরিবর্তন আসন্ন। রবিবার কলকাতায় সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, "দিল্লিতে যা হয়েছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাতেও তাই হবে। বিজেপি এবার জিতবেই।"
- কিন্তু এতো আত্মবিশ্বাস শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকবে তো? ধর্মেন্দ্র প্রধানের ভাষণে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলেছে।
- দিল্লিতে সম্প্রতি আম আদমি পার্টিকে (আপ) পরাজিত করে বিজেপি আবার ক্ষমতায় ফিরেছে। মন্ত্রীর দাবি, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে যে মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে প্রত্যাখ্যাকরতে মরিয়া এবং তারা বিজেপির উপর আস্থা রাখছে।
- বিজেপির ভোট শেয়ার নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় বিজেপির ভোটের হার বেড়ে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ হয়েছে। আমাদের যদি আরও ১০ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি পায়, তাহলে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করা সম্ভব হবে।"
- ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৭টি আসন কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ১২টি আসনে নেমে আসে সেটা। সেই ভিত্তিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবতা যে প্রবল বলেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ প্রসাদ মনে করেন।
বাংলা-কেন্দ্রের টানাপোড়েন
- রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে ধর্মেন্দ্র প্রধান অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, "আমি যখন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ছিলাম, তখন ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে ৭১০ কিমি দীর্ঘ গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু সাত বছর কেটে গেলেও পশ্চিমবঙ্গে সেই কাজ শুরু হয়নি।"
- তিনি আরও দাবি করেন, নবোদয়া স্কুল তৈরির জন্য কেন্দ্র জমির অনুরোধ করেছিল, কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখায়নি। তৃণমূলের উপর তোপ দেগে তিনি বলেন, "তৃণমূল মনে করে, কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মোদির সুবিধা হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এতে সাধারণ মানুষেরই উন্নতি হবে।"
- অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী কেন্দ্রের প্রতি বরাবর বঞ্ছনা করে এসেছে মোদীর সরকার। পরের বছর যখন বিধানসভা ভোটের দামামা বাজছে ঠিক এইসময়েই কাঁদা ছরাছুরিতে মেতেছে বাংলা আর কেন্দ্রীয় সরকার।
- ধর্মেন্দ্র প্রধানের বক্তব্যের পর তৃণমূল শিবির থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরের মতো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন।
- ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে মমতা-বিজেপি সংঘর্ষ আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। বিজেপি যেখানে পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে, তৃণমূল সেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে জনমত গঠনে ব্যস্ত।
টক্করে কতটা এগিয়ে পিছিয়ে দুই দল?
- দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন যে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০টিরও বেশি আসন পাবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
- অন্যদিকে বিজেপি দিল্লির সাম্প্রতিক নির্বাচনে জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গে একই সাফল্য পুনরাবৃত্তি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। কিন্ত বাংলায় তৃণমূলের অবস্থান যে কতটা মজবুত তা প্রধান বিরোধী পক্ষ হওয়ার দরুন বিজেপির জানা উচিত।
- ২০২৬ সালের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে, অমিত শাহ প্রথমবারের মতো কলকাতা সফর করে ঘোষণা করলেন যে বিজেপি ২০২৬ সালে বাংলায় সরকার গঠন করবে এবং দলের জন্য ১ কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। এই হেভিওয়েট সফর বিজেপির ২০২৬ সালের প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত কিন্তু দল এখনও ৫০ লাখ সদস্যসংখ্যা ছুঁতে পারেনিI
- বাংলার গ্রামীণ অঞ্চলে তৃণমুলের প্রভাব মারাত্মক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে দুয়ারে সরকার।বাংলার মানুষকে নিজের হাতের মুঠোয় রেখেছে বাংলার সরকার।
- ত্রিণমূল কংগ্রেস ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সভা আয়োজন করে, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখেন। নেটাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই সভায় ১৫,০০০-র বেশি কর্মী, যার মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের নিচু স্তরের কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
- ২০২১ সালের নির্বাচনে পাওয়া ২১৫টি আসনের চেয়ে অন্তত একটি আসন বেশি জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, মমতা বিজেপিকে ভোটার কার্ড ভুয়া পরিচয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করার অভিযোগে আক্রমণ করেন এবং পরিবারের মধ্যে বিভেদের গুজব উড়িয়ে দেন।
- ২০২৬-এর লড়াইয়ের ডাক দিয়ে মমতা দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করেন ‘খেলা আবার হবে’
- ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর প্রধান মোহন ভাগবত কলকাতা সফর করে জনগণকে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য উন্মুক্ত আহ্বান জানান এবং তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেন। পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় বিশাল কর্মী সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এখানে যোগ দেওয়ার জন্য কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যারা সংগঠনের কার্যকলাপ সম্পর্কে ধারণা নিয়ে চলে যেতে চান, তারাও স্বাধীনভাবে তা করতে পারেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা RSS-এর ভূমিকা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। সংগঠনটি সম্প্রতি হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়, যেখানে RSS-এর মাটির স্তরের কাজ বিজেপির ভালো ফলের ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। তাহলে, পশ্চিমবঙ্গে RSS কি হতে পারে সেই ঐতিহাসিক গেমচেঞ্জার?




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp