০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lorem Ipsum is a Dummy Text

সরকারের কোপে ১৭ জন নন প্র্যাকটিসিং চিকিৎসক

আবার সরকারের চক্ষুশূল সরকারি হাসপাতালের নন প্র্যাকটিসিং চিকিৎসকরা। বিনা অনুমতিতে বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করার জন্য শাস্তির মুখে চিকিৎসকরা, গর্জে উঠলেন চিকিৎসকরা।

কি অভিযোগ ডাক্তারদের বিরুদ্ধে ?

  • সরকারের সাথে চিকিৎসকের বিবাদ যেন শেষ হওয়ার নাম নেই। অভয়া থেকে স্যালাইন কাণ্ড ছুতোয় নাতায় চিকিৎসকদের কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে সরকার।
  • পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের ১৭ জন চিকিৎসক সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা নন-প্র্যাকটিসিং পোস্টে কর্মরত থাকা সত্ত্বেও সরকারি অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
  • এই বিষয়ে স্বাস্থ্যভবনের তদন্ত কমিটি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁদের তলব করেছে।
  • অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ১৭ জন চিকিৎসক সরকারি চাকরিতে যুক্ত থাকলেও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্র্যাকটিস করছেন।
  • সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, নন-প্র্যাকটিসিং পোস্টে থাকা চিকিৎসকেরা কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখতে পারেন না, যদি না সরকারের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা কোনো অনুমতি নেননি এবং দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম ভেঙে ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
  • তদন্ত কমিটির তালিকা অনুযায়ী পুর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া এবং অন্যান্য স্থান থেকে নাম রয়েছে অভিযুক্তের।
  • অভিযুক্তের নামের মধ্যে রয়েছে প্রণয় ঘোষ, সুপ্রতীম গিরি, দিলীপ কুমার বেরা, সায়ন হাজরা, শৈবাল মাইতি, সন্দীপ কুমার প্রামাণিক, অমিত কুমার হালদার, শিবশংকর দে, ভজনচন্দ্র সরকার, শরবিন্দু মণ্ডল, দীপঙ্কর প্রধান, আশুতোষ মাল, সমিউল্লা লস্কর, তপন কুমার খাটুয়া, সৌমিক সাহা, দেবদ্যুতি মহাপাত্র, সুশোভন মণ্ডল।

কি হবে শাস্তি?

  • সরকারি চিকিৎসকদের ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখা নিয়ে আগেও বিতর্ক হয়েছে প্রচুর। এর আগেও বিনা অনুমতিতে বেসরকারি স্থানে রোগী দেখা নিয়ে চিকিৎসকদের নিশানা করেছিল সরকার।
  • কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে একটু বেশী চিকিৎসকদের নিশানা করছে রাজ্য সরকার। অন্যান্য বার শাস্তির মেয়াদ হত চাকরি থেকে বরখাস্ত, বেতন কাটা, অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা।
  • কিন্তু এবারের এই ঝামেলায় চিকিৎসকদের উপর কিভাবে গায়ের ঝাল মেটায় সরকার সেটাই দেখার।

সরকারের সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চিকিৎসক মহলে

  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সাম্প্রতিক বেসরকারি চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা চিকিৎসকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
  • কিছু চিকিৎসক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন নিয়মগুলি তাঁদের জন্য ব্যক্তিগত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর সুযোগ সীমিত করে দিতে পারে। তাঁদের মতে, অনাপত্তি সনদ (NOC) নেওয়ার বাধ্যবাধকতা এবং ২০ কিলোমিটারের সীমার মধ্যে কার্যক্রম পরিচালনার নিয়মটি বেশ কড়াকড়ি।
  • এছাড়াও, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় বেসরকারি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ করার নিয়মটি কিছু চিকিৎসকের মতে তাঁদের পেশাগত স্বাধীনতার উপর বাধা সৃষ্টি করছে।
  • এছাড়াও, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় বেসরকারি প্র্যাকটিস নিষিদ্ধ করার নিয়মটি কিছু চিকিৎসকের মতে তাঁদের পেশাগত স্বাধীনতার উপর বাধা সৃষ্টি করছে।
  • অপরদিকে, অনেক চিকিৎসক সরকারের এই উদ্যোগকে সমর্থন করে বলেছেন, এই বিধিনিষেধ সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় আরও মনোযোগ দিয়ে দ্বায়িত্ব সামলাতে পারবে।
  • তাঁরা মনে করেন, এই নির্দেশিকা সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার মানকে আঁখেরে উন্নত করবে, কারণ বেসরকারি চেম্বারের অতিরিক্ত দায়িত্ব না থাকলে চিকিৎসকরা এমার্জেন্সিতে উপলব্ধ থাকবে।
  • সার্বিকভাবে, নতুন নিয়ম নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে কিছু উদ্বেগ থাকলেও, অনেকে সরকারের উদ্দেশ্যকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে এই ব্যাবস্থা সরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যাবস্থাকে আরও উন্নত করবে।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার