Happening Now
Lorem Ipsum is a Dummy Text
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাঃ ভোট পেতে তৃণমূলের এখন নতুন ইউএসপি
নবান্নের উদ্যগে বাংলা আবাস যোজনা শুরু করেছে তৃণমূল। কেন্দ্র বরাবরই বাংলাকে বঞ্চনা করে এসেছেন বলে মনে করেন মমতা ব্যানার্জী। তাই এবারও কেন্দ্রের অবহেলাকে নিজে দ্বায়িত্ব নিয়ে পুরন করছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না বাংলা আবাস যোজনা?
- বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে কেন্দ্র, সেই বঞ্ছনাকেই পূরণ করতে উঠে পরে লেগেছে কেন্দ্র। বাংলার কোষাগার থেকেই টাকা নিয়ে সেই ঘাটতি এবার পূরণ করবে মমতা ব্যানারর্জী।
- কোন প্রভাবশালী যেন মাঝখানে ঢুকে কমিশন না পায় তার দিকেও দৃষ্টিপাত করেছে নবান্ন সরকার।
- সমগ্র ব্যাপারটি যেন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাব মুক্ত থাকে তার জন্যই এলাকার পুলিশ, বিডিও এসসিও ও জেলাশসকদের উপর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার ফলস্বরুপ কিছু বিজেপি নেতাও বাড়ি তৈরীর জন্য টাকা পেয়েছেন।
- কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনায় (Awas Yojana) বাড়ি তৈরির সামগ্রি সরবরাহের নামে উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। আর সেইক্ষেত্রকেই হাতিয়ার করে বাংলাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
- বাংলাকে বার বার বঞ্চনার সন্মুক্ষীণ হতে হয় বলে দাবী করেন মমতা। ছুতোয় নাতায় রাজ্যের সরকারের দিকে আঙ্গুল তলে মোদী সরকার। তাই এইবারও কেন্দ্রের অবহেলাকে নিজে থেকে যত্নসহকারে পূরণ করতে উদ্যত মমতার সরকার।
- ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসনির্মানের জন্য টাকা প্রদান করা হয়েছে।
- নবান্নের নিয়ম অনুযায়ী বাংলা আবাস যোজনার টাকা পাঠানোর তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে বাড়ি তৈরির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে হবে। এই কাজের অগ্রগতির ওপরেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা বরাদ্দ করা হবে। তবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠানোর পর তিন মাসের মধ্যেই পুরো বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।
পেছনে কি ২০২৬ বিধানসভা ভোটের রাজনীতি?
- নির্মিত আবাসগুলিতে (spelling) লোগোও থাকবে এ রাজ্যের এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় এই লোগো পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার লোগো থাকত কিন্তু থেকে তার বদলে থাকবে Trinamool সরকারের।
- পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে এই বিষয়ে একটি চিঠির পাশাপাশি নতুন একটি এসওপি-ও পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন উপভোক্তারা যেন নিজেরাই বাড়ি তৈরির কাজটি করেন, এবং এক্ষেত্রে তারা যেন কোন মধ্যস্থতাকারীর সহযোগিতা না নেন।
- রাজনৈতিক মহলের দাবী, ২০২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে এই আবাস যোজনাই হতে চলেছে তৃণমূলের নির্বাচন লড়ার নতুন ইউএসপি। লক্ষ্মীর ভান্ডার,কন্যাশ্রীর পাশাপাশি বাংলার বাড়ি প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই গ্রামীণ জনতার কাছে বিশেষ বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই হয়ত রাজ্য সরকার এত তৎপরতার সাথে আবাস প্রকল্প নিয়ে মেতে উঠেছে।
- প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, এত মানুষ একসঙ্গে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করলে ইট-বালি-সিমেন্ট ইত্যাদির চাহিদা তুঙ্গে উঠবে। চাহিদা বাড়বে বাড়ি তৈরির মিস্ত্রিরও। ফলে একাধারে কাজ যেমন হবে তেমনি অর্থনৈতিক দিকেও লক্ষ্মীলাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- অনেকেই মনে করছেন মানুষের ভোট পেতে এবং বিজেপিকে একঘরে করতেই উল্টো চাল দিয়েছেন মমতা। মেদিনীপুরের বিজেপিনেতাদের বাড়ি বানানোর টাকা দিয়ে তিনি আসলে কেন্দ্রকে খোঁচা দেওয়ার সাথে সাথে নিজের আঁখেরটাই গুছিয়েছেন।




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp