প্রসেনজিৎ বসুর দাবি বাংলায় নতুন সমীকরণ রাহুলের নেতৃত্বেই ফাটবে SIR বোমা

প্রসেনজিৎ বসুর চমক – বাংলায় জোট রাজনীতি কি নতুন মোড় নেবে?

• প্রসেনজিৎ বসু বলছেন, বাংলার রাজনীতিতে SIR ইস্যু বিরোধীদের একত্রিত করতে পারে, যা বিজেপির বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
• তাঁর দাবি, রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যেই বিহারে যেভাবে লড়াই চালাচ্ছেন, সেটাই বাংলায় পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।
• তিনি মনে করছেন, কংগ্রেসের উদ্যোগে বিরোধী দলগুলো একজোট হলে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে বড় ধাক্কা লাগবে নিঃসন্দেহে।
• প্রসেনজিৎ বসুর মতে, তৃণমূলের ‘একলাচল’ নীতি ভেঙে দিতে পারে বিরোধী একতার এই নতুন সম্ভাবনা, যা রাজনীতিতে গতি আনবে।
• তিনি জোর দিয়ে বলেন, মানুষের ভোটাধিকার রক্ষা করাই হবে মূল লক্ষ্য, বিশেষ করে প্রান্তিকদের নাম কেটে দেওয়া রুখতে হবে।
• এভাবেই বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণে প্রসেনজিৎ বসু নিজেকে বড় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন বলে স্পষ্ট বার্তা মিলেছে।

রাহুল গান্ধীর ভরসা – বাংলায় কেমন খেল দেখাবে কংগ্রেস?

• রাহুল গান্ধী বিহারে যেভাবে SIR নিয়ে লড়াই করছেন, বাংলায় সেই একই কৌশল প্রয়োগ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রসেনজিৎ বসু।
• কংগ্রেসের মতে, গণতন্ত্র রক্ষা করার এই আন্দোলনে রাহুলের নেতৃত্ব বিরোধীদের একত্রিত করার বড় হাতিয়ার হতে পারে।
• প্রসেনজিৎ বসুর দাবি, রাহুল গান্ধীর প্রকাশ্য প্রতিবাদ কেবল বিজেপির বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূলের দ্বিচারিতাকেও সামনে আনবে।
• রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস নতুন করে বাংলার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশা করছে বিরোধী শিবির।
• কংগ্রেস শিবিরে বিশ্বাস, রাহুলের নেতৃত্ব শুধু দলীয় সমর্থনই নয়, গোটা INDIA জোটকেও চাঙা করবে বাংলায়।
• বাংলায় রাহুল গান্ধীর সরাসরি প্রচার বিজেপি-বিরোধী রাজনীতিকে তীব্র করবে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন বসু।

তৃণমূলের একলাচল নীতি – মমতা-অভিষেক কি ধাক্কা খাবেন এবার?

• প্রসেনজিৎ বসুর বক্তব্যে স্পষ্ট, তৃণমূলের একক লড়াইয়ের নীতি বিরোধীদের ঐক্য প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
• তিনি বলেন, যদি তৃণমূল সরে না আসে তবে বিরোধী জোটে তাদের অন্তর্ভুক্তি বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।
• প্রসেনজিৎ বসুর মতে, তৃণমূলের একক প্রচেষ্টা বিজেপির সুবিধা বাড়াচ্ছে, যার ফল বাংলার ভোট রাজনীতিতে ক্ষতি হবে।
• মমতা ও অভিষেক এখনো ‘একলাচল’ নীতি আঁকড়ে থাকলেও বিরোধী শিবির চাপ বাড়াচ্ছে এই ইস্যুতে।
• তিনি ইঙ্গিত দেন, রাজনীতিতে মানুষের স্বার্থে সমঝোতা না করলে তৃণমূলের সমর্থন ভেঙে পড়তে পারে।
• এভাবে বসু প্রশ্ন তুলেছেন, তৃণমূল কি সত্যিই বিজেপি-বিরোধী নাকি শুধু নিজের শক্তি বাড়ানোর খেলায় ব্যস্ত?

বিজেপির বিপদ – SIR ইস্যু কি গেরুয়া শিবিরকে কাঁপিয়ে তুলবে?

• প্রসেনজিৎ বসুর মতে, SIR ইস্যুতে বাংলায় বিরোধীদের ঐক্য হলে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বড় ধাক্কা খাবে।
• তিনি বলেন, বিহারের মতো বাংলাতেও নাম কেটে দেওয়া হলে বিজেপি কঠিন জনবিরোধী অভিযোগের মুখে পড়বে।
• প্রসেনজিৎ বসু দাবি করেন, বিজেপির পরিকল্পনা বাংলার প্রান্তিক ও সংখ্যালঘু ভোটারদের লক্ষ্য করেই তৈরি হয়েছে।
• বিরোধীরা যদি একত্র হয় তবে বিজেপির একার প্রচারাভিযান বাংলায় সফল হবে না বলে বিশ্বাস বসুর।
• প্রসেনজিৎ বসুর মতে, এই SIR বিতর্ক বিজেপির বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ ডেকে আনতে পারে, যা নির্বাচনী ছবিকে পাল্টে দেবে।
• বাংলার রাজনৈতিক মাটিতে বিজেপির সংগঠনের শক্তি দুর্বল হলে বিজেপির কেন্দ্রীয় কৌশলও প্রশ্নে পড়বে।

প্রসেনজিৎ বসুর নতুন ভূমিকা – কৌশলী, কর্মী নাকি প্রার্থী!

• প্রসেনজিৎ বসু বলেছেন, তিনি কংগ্রেসে বিভিন্ন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত, সেটা কৌশলগত হোক কিংবা ময়দানি আন্দোলনের অংশগ্রহণ।
• তিনি জানান, দলের প্রয়োজনে নির্বাচনী ময়দানে প্রার্থী হিসেবেও লড়াই করতে পিছপা হবেন না
• প্রসেনজিৎ বসুর মতে, কংগ্রেসে যোগ দিয়ে তিনি কেবল দলকে নয়, গোটা বিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করতে চান।
• তাঁর অভিজ্ঞতা, বাম ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে সামাজিক আন্দোলন, কংগ্রেসে কাজে লাগতে পারে।
• প্রসেনজিৎ বসুর লক্ষ্য, বিজেপির বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক নয়, আদর্শগত লড়াই চালিয়ে যাওয়া।
• তাঁর উপস্থিতি কংগ্রেসে নতুন প্রাণ আনতে পারে বলেই মনে করছে বিরোধী মহল।

Editor’s Note

প্রসেনজিৎ বসুর এই মন্তব্য যেন বাংলার রাজনীতির পুকুরে হঠাৎ ছুড়ে দেওয়া এক বড় পাথর! প্রশ্ন উঠছে, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কি সত্যিই কংগ্রেস ও বিরোধীরা একত্রিত হয়ে বিজেপিকে টক্কর দেবে? নাকি তৃণমূলের একলাচল নীতির কারণে আবারও জোট ভেস্তে যাবে? বসু যেভাবে বলছেন, তাতে বোঝা যাচ্ছে বাংলার রাজনীতির মাটিতে বড়সড় ঝড় উঠতে চলেছে। SIR নিয়ে আন্দোলন বিজেপির জন্য গলায় ফাঁসও হতে পারে, আবার বিরোধীদের অদূরদর্শী পদক্ষেপে সেই ফাঁস খুলেও যেতে পারে। সব মিলিয়ে এখন রাজনীতির খেলাটা হয়ে উঠেছে আরও রোমাঞ্চকর, আর এই খেলায় প্রসেনজিৎ বসু নিজেকে সামনে ঠেলে দিয়েছেন নতুন চালকের আসনে!