Happening Now
সইফ আলি খান ছুরিকাঘাত বিতর্কঃ সত্যি আহত না আসন্ন ছবির প্রমোশন?
ছুরিকাঘাত হওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে ছারা পেলেন সইফ, অথচ আঘাত ছিল গুরুতর। সইফের উপর এই আক্রমণ নিয়ে তৈরী হচ্ছে ধন্দ।


ঘটনার বিশদ বিবরণ
- বান্দ্রার সদগুরু সরণ অ্যাপার্টমেন্টের ১২ তলায় থাকেন সেফ করিনা ও তাঁদের পরিবার। ঘটনার দিনও অ্যাপার্টমেনটে উপস্থিত ছিলেন গোটা পরিবার। এই বিল্ডিংয়ের ৩টো ফ্লোর নিয়ে থাকেন সেফ ও করিনা। আর সেই অ্যাপার্টমেন্টেই হামলা হয়েছে সেফের ওপর।
- ১৬ জানুয়ারি রাত ২:৩০ মিনিটে, এক দুষ্কৃতী সাইফ আলি খানের বান্দ্রার বাসভবন 'সতগুরু শরণ' প্রবেশ করে এবং তার ওপর হামলা চালায়। সইফের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা চাওর হতে বেশী সময় লাগেনি।
- আততায়ী প্রথমে বিল্ডিংয়ের নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে সইফের ঘরে প্রবেশ করে এবং সোজা চলে যান তার লিভিং রুমে। সূত্র অনুযায়ী তখন লিভিং রুমে একাই ছিলেন সইফ।
- দুষ্কৃতী তাকে একাধিকবার ছুরি মারে, যার ফলে পেটে, হাতে ও বুকে আঘাত লাগে। তবে পরিবারের সদস্যদের তৎপরতায় তাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়।
- সইফের শরীরে মোট ৬টি স্থানে আঘাত পান—যার মধ্যে ২টি ছিল হালকা, ২টি মাঝারি এবং ২টি গভীর ক্ষত।
- পাঁচ দিন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সইফ। সেখানেই তার চিকিৎসা হয় এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন সইফ।
সইফের উপর হামলা ক্রমশ পাকাচ্ছে জট
- সইফ আলি খানের উপর হওয়া হামলা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা খবর অনুযায়ী সন্দেহ বাড়ছে দ্বিগুণ।
- আদৌ এই ঘটনা সত্যি কিনা তাই নিয়েও হচ্ছে সন্দেহ। এতো গভীর ক্ষত অথচ এতো তারাতারি কিভাবে সুস্থ হলেন সইফ। দু কিলোমিটার রাস্তা যেতে কেন প্রায় ঘন্টাখানেকের সময় লাগল?
- আততায়ীর জবরদস্তির বিল্ডিঙে ঢোকার কোন চিহ্ন নেই কেন? তাহলে কি আগে থেকেই বান্দ্রার ফ্ল্যাটে আগে থেকেই যাতায়াত ছিল আততায়ীর?
- সইফের সাথে হওয়া এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন শিব সেনা নেতা সঞ্জয় নিরুপম, ই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, "একটি ২.৫ ইঞ্চি লম্বা ছুরি তার শরীরে ঢুকে গিয়েছিল, অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র চার দিনের মধ্যেই তাকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল, হাঁটতে ও লাফাতে দেখা গেল, যেন কিছুই হয়নি! এত দ্রুত কি সুস্থ হওয়া সম্ভব?"
- সঞ্জয় নিরুপম আরও প্রশ্ন তুলেছেন, "হাসপাতালের দাবি অনুযায়ী, সাইফ রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু তার হাসপাতালে পৌঁছানোর কোনো সিসিটিভি ফুটেজ কেন প্রকাশ করা হয়নি? আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতিতে একজন নাবালক ছেলে কীভাবে তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল? সাইফের বাড়িতে আটজন কর্মচারী রয়েছেন, তাহলে এত বড় হামলা কীভাবে ঘটল?"
- পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিয়ে বলেন "তিন দিনের মধ্যে পুলিশ তিনজন ভিন্ন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। আসল অভিযুক্ত কি সত্যিই বাংলাদেশি নাগরিক, যেমনটি দাবি করা হচ্ছে? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি সন্দেহজনক। আমাদের দেখতে হবে, এর পেছনে কোনো বড় ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে কি না। পুরো ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে, তাই স্পষ্টতা দরকার।"
- নেই সিসিটিভি ফুটেজ, এত জলদি সুস্থ কিভাবে হলেন সইফ? এছাড়াও দুষ্কৃতীর সাথে বাংলাদেশের যোগ সত্যি আছে নাকি তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
সত্যি হামলা না ছবির প্রচার
- সইফের ভক্ত থেকে চলচিত্র সমালোচক অনেকের মতেই সইফের ঘটনা আসলে তার নতুন ছবি ‘জুয়েল থিফের’ 'Jewel Thief’ এর প্রচার। এটি আসলে ছবির প্রচারের জন্য মার্কেটিং স্টান্ট।
- এই ছবিটি পরিচালনা করছেন রবি গ্রেওয়াল, যেখানে সাইফ একজন চোরের চরিত্রে অভিনয় করছেন। এগুলো সবই নাকি বলিউড প্রচারণা বিতর্ক।
- অনেকেই এই ঘটনাকে ২০২৪ এর পুনম পাণ্ডের ভুয়া মৃত্যুর ঘটনার মতো বলছে, যা পুনম গত বছর শুধুমাত্র নিজেকে প্রচারের উদ্দেশ্যে করেছিলেন।
- সোশ্যাল মিডিয়াতে সইফের ঘটনা নিয়ে চরম ঝড় উঠেছে অনেকেই বলছেন, অনেকেই বলছেন এই ঘটনা মিথ্যা। কেউ কেউ বলছেন "সাইফের পরবর্তী সিনেমা 'Jewel Thief', যা একটি চুরির গল্প নিয়ে তৈরি। যদি এটি সত্যিই প্রচারমূলক চাল হয়, তাহলে এটি খুবই নিচু মানের প্রচার!"
- আবার কেউ কেউ বলছেন ‘"মানুষ ভুলে যাচ্ছে, সঞ্জয় দত্ত ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন, তারপর হঠাৎ সুস্থ হয়ে গেলেন। বচ্চন পরিবারও অভিষেকের টিভি সিরিজ মুক্তির আগে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিল। এই বলিউড তারকারা প্রচারের জন্য সবকিছু করতে পারে!"
- আরেকজন মন্তব্য করেছেন, "এটি ডাকাতির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে না। যেসব বিল্ডিংয়ে ভিআইপিরা থাকেন, সেখানে নিরাপত্তা খুব কড়া থাকে। অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।"
- সইফ আলি খানের এই ঘটনা এখন হট টপিক সত্যি হামলা না সাজানো ঘটনা না এর পেছনে কারণ আছে অন্য কিছুর ষে তো সময়ই বলবে।




ব্রডকাস্ট চ্যানেল







ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার











Copyright © All Rights Reserved by Truee News Bangla is a copyright property of Independent Media Corp