০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Lorem Ipsum is a Dummy Text

বাংলার প্রথম ইলেকট্রিক ভেসেল: সবুজ জাহাজের যাত্রা শুরু

আউট্রাম ঘাট থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেলের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটি রাজ্য সরকার দ্বারা চালিত হবে এবং এর নাম র 'ঢেউ'I

সবুজ ভবিষ্যতের পথে এক ধাপ

  • গার্ডেন রিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স পরিবেশবান্ধব সামুদ্রিক প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটানোর প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক চিহ্নিত করে, রাজ্যের প্রথম সবুজ ফেরি – পরবর্তী প্রজন্মের শূন্য-নিঃসরণ বৈদ্যুতিক ফেরি ‘ঢেউ’ – আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবহন দপ্তরের হাতে তুলে দিলোI
  • পরিবেশ দূষণ কমাতে ও জলপথ পরিবহণকে আরও উন্নত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎচালিত ফেরি পরিষেবা চালু করল। পরিবেশ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই ই-ভেসেল চালু হলে প্রায় ৫০% দূষণ কমবেI”
  • এছাড়া, গঙ্গার সংযুক্ত শহরগুলোর সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যানগুলিতে ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
  • এই ফেরি কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত চলাচল করবে, বেলুড় মঠ হয়ে।
  • এই ইলেকট্রিক ভেসেল সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত পরিবেশবান্ধব, কারণ এটি ডিজেল বা অন্য কোনও জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যাবহার করে না, পরিবর্তে ব্যাটারি ও সৌরশক্তি ব্যবহার করেই চলবেI
  • ইলেকট্রিক ফেরিতে রয়েছে আধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) ক্যাবিন, যেখানে ৩০ জন যাত্রী বসতে পারবেন। সাধারণ শ্রেণিত না নন এসিতে বসতে পারবেন আরও ৬০ জন যাত্রী। অর্থাৎ, এই ভেসেলে মোট ৯০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।
  • ৫.৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, এই ফেরির প্রস্তাবিত ভাড়া এসি কামরার জন্য প্রতি যাত্রী ৩০০ টাকা এবং নন-এসি জন্য ২০০ টাকা।
  • পরিবহণ দফতরের সূত্র অনুযায়ী, ২৪ মিটার দীর্ঘ ও ২১০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভেসেল ২ ঘণ্টা বা ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত একটানা চলতে সক্ষম।
  • জাহাজে থাকা ডিজেল জেনারেটর স্বয়ং সক্রিয় হবে যখন ৮০% বিদ্যুৎ চার্জ ব্যবহৃত হয়ে গেছে, যাতে জাহাজটি চার্জিং পয়েন্টে পৌঁছাতে পারে।
  • নতুন জাহাজটিতে কোনো শব্দ বা ইঞ্জিনের কম্পন থাকবে না এবং এটি সর্বোচ্চ ১০ নট গতিতে চলতে সক্ষম হবে।
  • জাহাজটিতে একটি স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা এবং স্যাটেলাইট-ভিত্তিক বৈশ্বিক সামুদ্রিক বিপদ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
  • যেদিন এই ফেরি উদ্বোধন করা হয় সেদিনকেই কইসঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে বলা হত, ‘সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার’, কিন্তু এখন মানুষ বলে ‘সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার’। যাতায়াতের কোনও অসুবিধা নেই, ফলে মানুষের কাছে এটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।”

দূষণমুক্ত বাংলা

  • পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, রাজ্য সরকার শুধুমাত্র একটি নয়, বরং ১২টি ই- ইলেকট্রিক ফেরি ভেসেল এবং ১২টি ই-বার্জ চালানোর পরিকল্পনা করছে।
  • বর্তমানে রাজ্যে ৩৭টি ডিজেল চালিত লঞ্চ রয়েছে, যা ধীরে ধীরে বিদ্যুৎচালিত লঞ্চে পরিবর্তন করা হবে। এর ফলে দূষণ অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেছেন, “পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং জলপথ পরিবহণকে আরও উন্নত করতে রাজ্য সরকার বিদ্যুৎচালিত ফেরি পরিষেবা চালু করেছে। এতে যেমন যাত্রীরা আরও স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষা পাবেন, তেমনই গঙ্গার পরিবেশও সংরক্ষিত হবে।”
  • বর্তমানে রাজ্য সরকার ‘ইন্টার ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট এন্ড মডেল ইন্টিগ্রেশন অফ ট্রান্সপোর্ট এন্ড আরবান আপগ্রেডেশন’ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৫টি ই-ভেসেল চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
  • এই প্রকল্পে প্রায় ১০২১ কোটি টাকা খরচ হতে পারে, যার মধ্যে ৭০০ কোটি টাকা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ADB) থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
  • ডিজেল চালিত ভেসেলের নির্মাণ খরচ ৪ কোটি টাকা, তবে একটি বিদ্যুৎচালিত ভেসেলের খরচ প্রায় ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিজেল চালিত ভেসেলের থেকে ইলেক্ত্রিকচালিত ভেসেল নির্মানের খরচ বেশি তবে এর সুবিধা হলো জ্বালানির খরচ অনেকটাই কমবে।
  • সামনেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন তার আগেই কোলকাতার রাস্তাঘাট থেকে রাজ্যের খুঁটিনাটি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন রয়েছে সজাগ দৃষ্টি।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার