০৬ জানুয়ারি ২০২৫

Breaking News

আবারো নতুন একটি ভাইরাসের আক্রমণ! ভীতির চাদরে বাংলা

ভারতে দ্রুত ছরাচ্ছে HMPV ভাইরাস। সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। ভাইরাস নিয়ে চলছে মতবিরোধ। অতিমারির পাঁচ বছর ফের চোখ রাঙ্গানি চীনা ভাইরাসের।

বর্তমান পরিস্থিতি

  • ২০২০ সালের অতিমারির তীব্র স্মৃতি এখনও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। এই বছর কি সেই দুঃস্বপ্ন আবার ফিরে আসবে?
  • ভারতে ইতিমধ্যে এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জন।
  • বেশিরভাগ আক্রান্ত শিশু এবং কিশোর। কর্নাটকে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়, এরপর বেঙ্গালুরু, কেরালা, গুজরাট এবং মুম্বাইতেও এর প্রকোপ লক্ষ্য করা গেছে।
  • এই ভাইরাসের উপসর্গ সাধারণ সর্দি, কাশি এবং জ্বরের মতো হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
  • বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রকৃতি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলছেন এটি খুবই সামান্য, আবার কেউ মনে করছেন এটি ভবিষ্যতে লকডাউন ফিরিয়ে আনতে পারে।
  • শুধু ভারত নয়, জাপান এবং মালয়েশিয়াতেও দ্রুত বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা।

মূল উদ্বেগ কোথায়?

    চিকিৎসকদের মতে,
  • শীতের শেষ এবং বসন্তের শুরুতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
  • এই সময় কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষদের জন্য এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
  • এইচএমপিভি ফুসফুসে সরাসরি আঘাত করে, যা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • এর ফলে সাধারণ ভাইরাল জ্বরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।
  • পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক মানুষ এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

সরকারে ভূমিকা

  • কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের নজর আছে HMPV কেসের পরিস্থিতির উপর। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি আছে।
  • এছারাও ভারত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু-World Health Organaization) -র কাছে এই ভাইরাস নিয়ে সময়ে সময়ে তথ্য পাঠানোর জন্য আবেদন করেছে।
কি লোকাচ্ছে চীন?
  • সূত্র অনুযায়ী চীনের উহানে দ্রুত বিস্তার করছে HMPV ভাইরাস। উহানের হাসপাতাল ছেয়ে গেছে HMPV ভাইরাস, আকারান্তের (spelling)দাঁড়ানো দায় হয়ে যাচ্ছে এমনই ছবি প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে, তা অবশ্য অস্বীকার করেছে না চীন।
  • বর্তমানে এই চিত্র আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে পাঁচ বছর আগের করোনার সুচনাকালকে। করোনার মতো এইবারও চীন লুকিয়ে যাচ্ছে তথ্য?
  • হু এর তথ্য অনুযায়ী কোভিডের ঘটনা যদি চীন সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রথমেই বিশ্বের সামনে আনত তাহলে প্রায় ৫৫% পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা কম করা যেত। ঠিক একই কারনে এইবারেও ক্রমাগত চীনকে তথ্য দিতে বললেও সহযোগিতার নাম করছে না তারা।
  • আবার কি নতুন চক্রান্ত চলছে চীনের? এমনকি চীনের উহানে হাস্পাতালে নেই কোন বেড। এততাই গভীর পর্যায়ে গেছে HMPV সংক্রমণ?
  • হু হু আক্রান্তের সংখ্যা বারার পরেও হেলদল নেই চীনের। ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলছে, ২০০১ সালেই নাকি HMPV র এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছে, নতুন কোন ভাইরাস নাকি এটি নয়। এই ভাইরাসের পেছনে কোন হাত নেই চীনের এমনই বলছে বেজিং।
  • দিচ্ছে না কোন তথ্য, করছে না কোনোরূপ সাহায্য চীনের এই গোঁয়ার্তুমির ফল আবার লকডাউনকে না ফিরিয়ে এই ভয়েই রয়েছে বিশ্ববাসী।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার