Happening Now
মিনি স্ট্রোকের আক্রমণ অল্প বয়সেই প্রাণঘাতী
হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া, হাত-পা অসাড় হওয়া বা দৃষ্টি ঝাপসা—এগুলো মিনি স্ট্রোকের অশনিসংকেত, অবহেলা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনে।


- হঠাৎ জিভ অসাড়, হাত-পা ভারী বা চোখের দৃষ্টি ঝাপসা—মাত্র কয়েক মিনিটের এই উপসর্গই মিনি স্ট্রোকের ভয়ংকর সতর্কবার্তা। অবহেলা করলে কয়েক দিনের মধ্যেই প্রাণঘাতী বিপদ নামতে পারে।
অল্প বয়সেই কেন মিনি স্ট্রোক?
- আগে যেটি মূলত বয়স্কদের রোগ মনে করা হতো, এখন তা তরুণদের মাঝেও দেখা যাচ্ছে।৩০ থেকে ৪০ বছরের মানুষের মধ্যে আক্রান্তের হার বাড়ছে দ্রুত।
- অতিরিক্ত মদ্যপান, নিয়মিত পার্টি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার অন্যতম কারণ।এতে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং শরীর স্ট্রোকের ঝুঁকিতে পড়ে।
- জিমে হঠাৎ অতিরিক্ত কসরতও বিপদ ডেকে আনে।বিশেষত যাঁদের খাবারাভ্যাস ও জীবনযাপন অনিয়মিত তাদের জন্য ঝুঁকি বেশি।
- কোভিড-১৯–এর পরবর্তী প্রভাব অনেকের রক্তনালী দুর্বল করে দিয়েছে।এর ফলে হঠাৎ মিনি স্ট্রোকের ঘটনা বাড়ছে তরুণদের মধ্যে।
- চিকিৎসকদের মতে, জেনেটিক ও হৃদরোগ-সংক্রান্ত সমস্যা তরুণদের স্ট্রোকের পেছনে লুকিয়ে থাকে। সময়মতো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে ঝুঁকি অনেকটা কমানো যায়।
কোন খাবারেই লুকিয়ে মৃত্যু ফাঁদ?
- অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও তেল-ঝাল খাবার সরাসরি রক্তচাপ বাড়ায়।এই বাড়তি চাপ থেকেই মিনি স্ট্রোক ও বড় স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়।
- প্রক্রিয়াজাত খাবার ও ফাস্ট ফুডে অতিরিক্ত ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এগুলো রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমিয়ে ব্লক তৈরি করে।
- চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৮০% পর্যন্ত কমে।ফলে সবজি, ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- অল্প বয়সীরা প্রায়ই ডায়েট উপেক্ষা করে জাঙ্ক ফুডে ঝুঁকে পড়েন। এতে অজান্তেই শরীর স্ট্রোকের মতো বিপদের দিকে ধাবিত হয়।
- তাই সতর্ক হওয়া ছাড়া উপায় নেই—প্রতিদিনের প্লেটে লবণ, চিনি ও তেল কমাতে হবে। নয়তো মিনি স্ট্রোক আঘাত হানতে পারে যে কোনো সময়।
হঠাৎ জিভ কেন অসাড় হয়?
- মিনি স্ট্রোকের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত অনেকেই চিহ্নিত করতে পারেন না। জিভ হঠাৎ ভারী বা অসাড় লাগলে এটিকে হালকা সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করা মারাত্মক ভুল।
- চিকিৎসকেরা জানান, সাময়িক জড়ানো কথা আসলে শরীরের অ্যালার্ম বেল বাজানো। কয়েক মিনিট পরে স্বাভাবিক হলেও এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে প্রাণঘাতী ঝুঁকি।
- অনেকে মনে করেন অতিরিক্ত ক্লান্তি বা মানসিক চাপেই জিভ ভারী হয়। কিন্তু বারবার এমন হলে দ্রুত নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
- জিভে অসাড়তার সঙ্গে হাত-পা ভারী লাগা মিনি স্ট্রোকের স্পষ্ট ইঙ্গিত।এই উপসর্গ একসাথে দেখা দিলে চিকিৎসা দেরি করা বিপজ্জনক হতে পারে।
- এমন উপসর্গকে পাত্তা না দিলে কয়েক দিনের মধ্যেই বড় স্ট্রোক নামতে পারে।যার পরিণতি হতে পারে স্থায়ী অক্ষমতা বা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত।
কথা বলতে গিয়েই কেন থমকে যায়!
- হঠাৎ জড়ানো বা অস্পষ্ট কথা বলাকে অনেক সময় মানুষ মজার ছলে নেয়। অথচ এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার গুরুতর ইঙ্গিত হতে পারে।
- মিনি স্ট্রোক হলে কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায় না। এর ফলেই শব্দ উচ্চারণে সমস্যা হয় এবং স্বাভাবিক বাক্য গঠনে বাধা আসে।
- সাধারণত কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবস্থা স্বাভাবিক মনে হয়। কিন্তু চিকিৎসা না নিলে ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।
- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কথা হঠাৎ থেমে যাওয়া বা অস্পষ্ট হওয়া কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।এটি বড় স্ট্রোকের আগে শরীরের পাঠানো সরাসরি সতর্কবার্তা।
- পরিবার বা আশেপাশের লোকজনেরও সচেতন থাকা জরুরি। এমন লক্ষণ দেখলেই অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া দরকার।
সতর্ক সংকেত উপেক্ষা করাই কি মৃত্যুদণ্ড?
- চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রাথমিক উপসর্গকে পাত্তা না দেওয়াই সবচেয়ে বড় ভুল।কয়েক মিনিটের জন্য উপসর্গ মিলিয়ে গেলেও বিপদ থেকে যায়।
- অনেকেই এটিকে সাময়িক ক্লান্তি ভেবে ডাক্তার দেখান না।অথচ কয়েক দিনের মধ্যেই প্রাণঘাতী বড় স্ট্রোক হতে পারে।
- সচেতন না হলে মিনি স্ট্রোক থেকে স্থায়ী অক্ষমতা তৈরি হতে পারে। হাঁটা, কথা বলা কিংবা হাত-পা নাড়ানো পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে যেতে পারে।
- স্ট্রোকের পর মৃত্যুর ঝুঁকিও অত্যন্ত বেশি। তাই অবহেলা মানেই জীবন বাজি রাখা।
- যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। সময়মতো চিকিৎসাই জীবন রক্ষার একমাত্র ভরসা।
Editor’s Note
মিনি স্ট্রোক—নামে ছোট, কিন্তু আঘাতে পাহাড় ভাঙা! হঠাৎ জিভ জড়িয়ে যাওয়া, চোখ অন্ধকার হওয়া বা হাত-পা অবশ—এগুলো কোনো মজা নয়, বরং শরীরের ডেথ ওয়ার্নিং সাইরেন। কয়েক মিনিট পর সবকিছু




ব্রডকাস্ট চ্যানেল








ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার






