ট্রাম্প প্রশাসনের H-1B ভিসা ফি বৃদ্ধি নিয়ে এল ভারতের জন্য ধাক্কা

চিন আগামী ১ অক্টোবর থেকে নতুন ‘কে ভিসা’ কার্যকর করছে। বিদেশি মেধাবীদের দেশে টানতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বেজিং, যেখানে আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার সীমাবদ্ধতা বিদেশি কর্মীদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করছে।

চিন কি সত্যিই নতুন ‘কে ভিসা’ চালু করতে যাচ্ছে?

• বিদেশি মেধাবীদের দেশে আনার লক্ষ্য নিয়ে নতুন ভিসা চালু হচ্ছে।
• এই পদক্ষেপ মূলত আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার সংকটের সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে।
• শিক্ষাগত ও গবেষণামূলক যোগ্যতা থাকা বিদেশিরা আবেদন করতে পারবে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী কর্মীরা উপকৃত হবেন।

কে ভিসার জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন?

• বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে মেধাবীরা আবেদন করতে পারবেন।
• বিশ্বের যে কোনো প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকরা আবেদন করতে পারবেন।
• শিক্ষকতা ও গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও আবেদনযোগ্য।
• শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাও মূল্যায়ন করা হবে।

কে ভিসার বিশেষ সুবিধা কী কী?

• প্রথাগত ভিসার তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা মিলবে। ভিসার মেয়াদ প্রয়োজনে সহজেই বৃদ্ধি করা যাবে।
• নিয়োগকারী সংস্থার আমন্ত্রণ ছাড়াই আবেদন সম্ভব।
• বিদেশিরা বাণিজ্যিক কাজকর্মেও অংশ নিতে পারবেন। সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমেও যোগদানের সুযোগ থাকবে।

কে ভিসা ভারতের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

• প্রতি বছর বহু ভারতীয় এইচ-১বি ভিসা নিয়ে আমেরিকায় যাচ্ছেন। নতুন নিয়মে আমেরিকার দরজা কার্যত বন্ধ, চিন বিকল্প হয়ে উঠছে।
• ভারতীয় মেধাবীরা চিনের নতুন সুযোগে উপকৃত হবেন।
• শিক্ষকতা ও গবেষণামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও আবেদনযোগ্য।
• ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ ভিসা ফি ভারতীয়দের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।বেজিং ভারতীয় দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণ করতে চাইছে।

চিনের কৌশল কি শুধু মেধা টানাই?

• আমেরিকার সঙ্গে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ। বিদেশি মেধা টানার মাধ্যমে অর্থনৈতিক শক্তি বাড়ানো হবে।
• সামরিক ও আন্তর্জাতিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করছে। বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে চিনের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে।
• ব্রিটেনও একই সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত রয়েছে।

Editor’s Note

চিন ১লা অক্টোবর থেকে নতুন ‘কে ভিসা’ চালু করতে যাচ্ছে। ভাবুন, বিশ্বের মেধাবী মানুষদের টানার জন্য বেজিং এমন বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে যেখানে আমেরিকার এইচ-১বি ভিসার কঠোর নিয়ম ভারতীয়দের জন্য বড় বাঁধা। কে ভিসা কি শুধুই কাগজের খাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ? না, বিজ্ঞান তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষকতা গবেষণা—যেকোনো যোগ্য বিদেশি আবেদন করতে পারবে, শিক্ষাগত নথি জমা দিতে হবে, কিন্তু নিয়োগকারী আমন্ত্রণ লাগবে না। আর সুবিধা? প্রথাগত ভিসার তুলনায় অধিক সুবিধা, বাণিজ্যিক কাজ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম—সবই হাতের নাগালে! ভাবুন, ভারতের মতো দেশের মেধাবীরা আমেরিকার দরজা বন্ধ পেয়ে চিনকে নতুন ঠিকানা হিসেবেই দেখতে শুরু করছে। আর বেজিং? তারা শুধু সুযোগ নিচ্ছে না, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা, মেধা টানার কৌশলও একসাথে খেলছে।