০৬ জানুয়ারি ২০২৫

হঠাৎ কেন প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়লেন অলি বিক্ষোভ না কি দুর্নীতির অভিযোগ কোনটি আসল কারণ?

সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তরুণদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, সহিংসতায় নিহত ১৯, শেষমেশ পদত্যাগে বাধ্য কেপি শর্মা অলি।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান দিয়ে সরকার পড়ল নিজের জালে!

  • তরুণরা যেখানে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছিল, সেই মাধ্যম বন্ধ করেই সরকার ভেবেছিল সব চাপা থাকবে।
  • কিন্তু বন্ধের পর রাগে ফেটে পড়ল দেশের Gen Z, রাস্তাই হয়ে উঠল প্রতিবাদের আসল প্ল্যাটফর্ম।
  • সরকারের কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে গেল, দমননীতি উল্টে আন্দোলনকেই উস্কে দিল।
  • একদিকে প্রচার বন্ধ, অন্যদিকে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল মুখে মুখে, যা আটকানো গেল না।

১৯ জনের প্রাণ গেলে তবেই কি সরকারের ঘুম ভাঙে?

  • প্রথমে সরকার ভেবেছিল কয়েকদিনে বিক্ষোভ থেমে যাবে, কিন্তু প্রাণহানি না হওয়া পর্যন্ত নড়ল না।
  • ১৯ জনের মৃত্যুতে রাগে উত্তাল হল সাধারণ মানুষ, আন্দোলন আরও জোরদার হল।
  • প্রশ্ন উঠছে, এত প্রাণ না গেলে কি সরকার পরিস্থিতি গুরুত্ব দিত?
  • সরকারের নীরবতা জনগণের ক্ষোভকে দ্বিগুণ করে তুলল।
  • শেষে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের চাপেই মুখ বাঁচাতে পদত্যাগে বাধ্য হল অলি।

পদত্যাগ নয়, পালানোই কি প্রথম চিন্তা অলির?

  • দেশ ছাড়ার খবরে সাধারণ মানুষ বুঝল, নেতা নয়, এক “পলাতক অতিথি”র মুখোশ পরে ছিলেন অলি।
  • ক্ষমতা হারানোর ভয় তাঁকে আরও অস্থির করে তুলল।
  • জনগণ আশা করেছিল দায় স্বীকার করবেন, অথচ তিনি ভেবেছিলেন পালিয়ে বাঁচবেন।
  • যে নেতা জনতার সেবক হওয়ার কথা, তিনি পরিণত হলেন ‘বিদেশমুখী পর্যটক’-এ।
  • ফলস্বরূপ, পদত্যাগ এল দেরিতে, কিন্তু পালানোর ছক ফাঁস হল আগেভাগেই।

দুর্নীতির দায়ে চুপ, দায় চাপালেন “অন্য স্বার্থান্বেষীদের” ওপর!

  • তরুণরা প্রশ্ন তুলেছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে, কিন্তু অলি সরাসরি একটিও উত্তর দিলেন না।
  • বরং দায় চাপালেন ‘অদৃশ্য স্বার্থান্বেষী কেন্দ্রগুলির’ ওপর, যেন তিনিই নির্দোষ।
  • জনগণ বুঝল, দায় স্বীকারের সাহস নেই তাঁর মধ্যে।
  • কথায় কথায় দোষ চাপানোর প্রবণতা মানুষের চোখে তাঁকে আরও অবিশ্বাস্য করে তুলল।
  • ফলে দুর্নীতি প্রশ্নে চুপ থাকা মানেই ছিল জনগণের ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢালা।

মন্ত্রীরা দিলেন নৈতিকতার দোহাই এইদিকে অলি গেলেন চাপে পড়ে!

  • সোমবার গভীর রাতে দুই মন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন তাঁরা নৈতিকতার কারণে পদ ছাড়ছেন।
  • অথচ অলি গেলেন চাপ সহ্য করতে না পেরে, জনরোষে দিশেহারা হয়ে।
  • সরকারের অভ্যন্তরীণ ভাঙনই প্রমাণ করল, সবাই সমান দায়ী নন।
  • মন্ত্রীদের পদত্যাগ মানুষ দেখল সাহসের নজির হিসেবে।
  • বিপরীতে, অলির পদত্যাগ মনে হল কেবল বাধ্যতামূলক আত্মসমর্পণ।

যুব বিক্ষোভকে অবজ্ঞা, অথচ তার হাতেই পতন সরকারে র!

  • সরকার ভেবেছিল Gen Z কেবল সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ তুলবে, রাস্তায় নামবে না।
  • কিন্তু ঠিক উল্টোটা ঘটল— সেই তরুণরাই হল সরকারের পতনের নায়ক।
  • অবজ্ঞা করে যাদের উপেক্ষা করা হয়েছিল, তারাই হয়ে উঠল পরিবর্তনের হাতিয়ার।
  • তাদের রাগ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ল দেশজুড়ে দাবানলের মতো।
  • আর সেই দাবানলেই শেষ হয়ে গেল অলির রাজনৈতিক অধ্যায়।
Editor’s Note
অলি ভেবেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়া Ban করে যুবকদের মুখ বন্ধ করবেন। অথচ সেটাই তাঁর পতনের কারণ হয়ে গেল। মানুষ মরল, মন্ত্রীরা পদ ছাড়ল, দেশ জ্বলল—তারপরও দায় স্বীকার না করে দোষ চাপালেন “অন্য স্বার্থান্বেষীদের” ওপর।শেষে পদত্যাগ করলেন, কিন্তু তাও নাকি পালানোর ছক মাথায়। নেতা নয়, যেন এক পলাতক অভিযুক্ত।এই ঘটনার শিক্ষা স্পষ্ট—যুবসমাজকে অবজ্ঞা করলে, ক্ষমতার চেয়ার ভেঙে পড়ে যায় চোখের পলকেই।

.

ব্রডকাস্ট চ্যানেল

ডেইলি ডিজিটাল নিউজ পেপার